আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি পরিযোজনার সুবিধাপ্রাপ্ত লোকজন এবং জন ঔষধী কেন্দ্রগুলির কর্ণাধারদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। সেই সময়ই দেহরাদুনের বাসিন্দা দীপা শাহ জানান, ‘২০১১ সালে আমি সিভিয়ার প্যারালিসিসে আক্রান্ত হই। আমি কথা বলতেও পারতাম না। আমি চিকিৎসা করাচ্ছিলাম কিন্তু ওষুধের দাম অনেক বেশি ছিল। আমার স্বামীও বিশেষভাবে সক্ষম। ফলে সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু যেদিন থেকে আপনার সরকারের ওষুধ পাচ্ছি, আমি সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করেছি। আমি এখন ভাল আছি।’
এই মহিলা আরও জানান, ‘এমনকী চিকিৎসকরাও আমার সুস্থ হওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে আমি এখন অনেক ভাল আছি। কারণ, এখন এই প্রকল্পের মাধ্যমে ওষুধ কিনতে পারছি। আগে যে ওষুধ কিনতে হত ১২ হাজার টাকা দিয়ে, সেটাই এখন দেড় হাজার টাকায় পাচ্ছি। আমি ঈশ্বরকে দেখিনি, তবে আপনার মধ্যে ঈশ্বরকে দেখেছি, মোদিজি।’ এই কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন দীপা। আবেগ সামলাতে না পেরে মোদিও থেমে যান। তিনি কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেননি।
এই ভিডিও কনফারেন্সেই প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর প্রতি মাসে এক কোটিরও বেশি পরিবার জন ঔষধী কেন্দ্রগুলি থেকে কম দামে ওষুধ পাচ্ছে। সারা দেশে ৬ হাজারেরও বেশি জন ঔষধী কেন্দ্র আছে। এগুলির মাধ্যমে দেশের মানুষ দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা বাঁচাতে পারছেন।