প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর মেয়ে জানিয়েছেন, ‘আমি সুষমা স্বরাজের মেয়ে হিসেবে গর্বিত। আমার মা ছিলেন আইনজীবী। আমিও আইনজীবী। আমি সুপ্রিম কোর্টে কাজ করি। আমার এই সিদ্ধান্তের পিছনে মায়ের প্রভাব ছিল। তিনি বলতেন, এই পেশা অত্যন্ত তৃপ্তিদায়ক। এই পেশার মাধ্যমে প্রতিদিন মানুষের জীবনে বদল আনা যায়। আমি মায়ের কাছ থেকে কিছুই লুকোতে পারতাম না। তিনি আমার সব পরীক্ষার রিপোর্ট কার্ড দেখতেন, স্কুলে সব পেরেন্ট-টিচার মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতেন।’
ট্যুইটারে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন সুষমা। এ বিষয়ে বাঁশুরী জানিয়েছেন, ‘আমার মায়ের কাছে ট্যুইটার ছিল গণতন্ত্রের উৎসব। তিনি অত্যন্ত যত্ন নিয়ে প্রতিটি ট্যুইট লিখতেন। তিনি কার্যকরভাবে ট্যুইটার ব্যবহারও করতেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ভারতীয়দের সাহায্য করতেন।’
একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রীর মেয়ে জানিয়েছেন, এক মহিলা তাঁর স্বামীর খোঁজে আট বছরের মেয়েকে নিয়ে ব্রিটেনে যান। কিন্তু তাঁর ট্র্যাভেল এজেন্ট তাঁকে জার্মানির একটি উদ্বাস্তু শিবিরে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। ওই মহিলা একটি ভিডিও তুলে ট্যুইটারে পোস্ট করে সাহায্য প্রার্থনা করেন। সেই ট্যুইট দেখে ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেন সুষমা।