নয়াদিল্লি ও কলকাতা: আজ তৃণমূলের ২১শে জুলাইয়ের শহিদ দিবস। করোনা পরিস্থিতিতে এবারও ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দিলেন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সর্বভারতীয় স্তরে তাঁর বার্তা পৌঁছে দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই কলকাতার রাজপথে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ছিলেন রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী।প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে তৃণমূল।


তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের পাল্টা আজ শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস পালন করেছে বিজেপি। দিল্লিতে রাজঘাটে ধর্নায় বসে বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কর্মসূচি পালিত হচ্ছে রাজ্যের ব্লক-বুথ ও জেলাস্তরেও। এই উপলক্ষেই গোটা শহর জুড়ে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগে পোস্টার দিয়েছে বিজেপি।


তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, মমতা  শহিদ দিবস করবেন যুব কংগ্রেসের কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে, অথচ আমাদের কর্মীদের রোজ খুন করা হচ্ছে বাংলায়।


এবারই প্রথম ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচীতে সর্বভারতীয় স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল সাফল্যের পর আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতিতে মোদি-বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিজেপি রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় স্তরে নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তৃণমূল আগে যেসব রাজ্য শাখা খুলেছিল সেগুলোই তো গুটিয়ে গেছে। 


রাজঘাটে ধর্নায় যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ আরও বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল আমাদের যে ১৭৫ জন কর্মীকে খুন করেছে, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। 


দিলীপ ঘোষ ছাড়াও ধরনায় যোগ দেন অর্জুন সিংহ, দেবশ্রী চৌধুরী, রাজু বিস্তার মতো বিজেপি সাংসদরা।  বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য দলের কর্মীদের ওপর অত্যাচার, খুন চলছে। এখনও অনেকেই ঘরছাড়া। প্রশাসন নির্বিকার। 


বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। এর আগেও লোকসভা নির্বাচনের আগে এই স্বপ্ন দেখেছিলেন। ব্রিগেডে বিরোধী নেতাদের একসঙ্গে এনেছিলেন। কিন্তু এখন তো সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছেন, কে কোথায় গিয়েছেন, জানা নেই। মমতার এই স্বপ্ন পূরণ হবে না। দেশের মানুষ আস্থা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির প্রতি।