জলপাইগুড়ি : কিছুদিন আগে এমন অভিযোগ উঠেছিল অসমে। এবার এ বঙ্গেই। শনিবার পঞ্চম দফা নির্বাচন শেষে ইভিএম নিয়ে ফেরার পথে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের একই গাড়িতে দেখা যায় বলে দাবি তৃণমূলের। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূলের দাবি, রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ের বুথ থেকে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ইভিএম নিয়ে ফিরছিলেন ভোট কর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। অভিযোগ, গাড়িতে বাহিনীর সঙ্গে একই গাড়িতে ওঠেন বিজেপির পোলিং এজেন্টরা।
এই অভিযোগ তুলে গাড়ি আটকে তৃণমূল কর্মীরা প্রতিবাদ জানায়। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে যান জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার ও ডিএসপি সদর। সেই সময় উত্তেজনা সামাল দিতে সেইসময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, ইভিএম লুঠ করার উদ্দেশেই তৃণমূল এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে। প্রতিক্রিয়া মেলেনি পুলিশ-প্রশাসনের। এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে পুলিশ সুপারকে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ভোট চলছে অসমেও। অসমে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ পর্বে একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে বিতর্ক ছড়ায়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়., পাথরকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু পালের গাড়িতে করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ভোট লুঠের অভিযোগে বিজেপিকে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা ও রাহুল গাঁধী-সহ কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষ নেতা।
প্রিয়ঙ্কা ট্যুইট করেন, ‘ভোটের সময় যখনই কোনও প্রাইভেট গাড়িতে ইভিএম নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়ে, আশ্চর্যজনকভাবে প্রতিবারই তাতে কিছু সাদৃশ্য পাওয়া যায়।’ কী সেই মিল? প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘ওই গাড়িগুলি কোনও না কোনও বিজেপি প্রার্থীরই হয়। ভিডিওগুলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। এ ধরনের ঘটনায় কিছুই পদক্ষেপ করা হয় না’।
বিজেপিকে বিঁধে ট্যুইট করেন রাহুল গাঁধীও। তিনি ইঙ্গিতপূর্ণভাবে ট্যুইট করেন, 'নির্বাচন কমিশনের গাড়ি খারাপ। বিজেপির উদ্দেশ্য খারাপ। গণতন্ত্রের হাল খারাপ।'