সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দমকলকর্মীর মৃত্যু। ১০ লক্ষ টাকা সাহায্য, পরিবারের একজনকে চাকরি। সিইএসসি ভুল তথ্য দিয়েছিল, ব্যবস্থা নিতে বলেছি। সিইএসসি ফৌজদারি অপরাধ করেছে। সিইএসসি তো আমাদের দফতর নয়। সিপিএমের আমলে সিইএসসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজনীতি শুরু করল। দমকলকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত হবে। ৯০% বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সুন্দরবনের সর্বনাশ হয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ। জল না সরলে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো সম্ভব হচ্ছে না। সুন্দরবন, নামখানাতে নদী বাঁধের অবস্থা খারাপ। সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে চাষের জমি নষ্ট করছে।’
মহারাষ্ট্র থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বাংলায় ট্রেন আসা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ একসঙ্গে ৩৬টি ট্রেন মুম্বই থেকে ছাড়া হচ্ছে বলে জানলাম। একটা রাজ্য একটা বিপদে পড়েছে বলে সব চাপিয়ে দেওয়া হবে, এটা ঠিক নয়। যারা ভিন রাজ্য থেকে আসছে, তাদের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ। রাজ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ চলে এসেছে। জেলায় জেলায় টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হচ্ছে। টাস্ক ফোর্সে বিডিও, আইসি, বিধায়করা থাকবেন। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, চেন্নাই, দিল্লি-এই ৫ রাজ্য থেকে এলেই ইন্সটিটিউশন কোয়ারেন্টিন। স্কুলে স্কুলে কোয়ারেন্টিন সেন্টার হবে। ভিন রাজ্য থেকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ রাজ্যে ১১টি ট্রেন আসছে, কাল ১৭টি ট্রেন আসছে। রেল মন্ত্রকের কোনও দায়িত্ব নেই? প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, যেন করোনা না বাড়ে। কেউ কেউ বাড়ানোর চেষ্টা করছে, রাজনীতি করবেন না। অমিত শাহকে বলেছিলাম, এরকম হলে সরকার ভেঙে দিন। অমিত শাহ তখন বলেছিলেন, নির্বাচিত সরকার কীভাবে ভাঙব? ত্রাণে যেন অভাব না হয়, দেখে নিন। একসঙ্গে লক্ষ লক্ষ লোক এসে গেলে, কী করতে পারি? আমাদের সঙ্গে কথা বলে পরিকল্পনা করতে পারত কেন্দ্র। এত লোককে কীভাবে পরীক্ষা করব? এখন বাংলায় যদি মানুষ এর থেকে সংক্রমিত হন, দায় কে নেবে? মুম্বই থেকে সরাচ্ছেন, বাংলায় বাড়ছে। ভিন রাজ্য থেকে যারা আসছেন, তাদের অনেকেই সংক্রমিত। এ ব্যাপারে আমি খুব চিন্তায় আছি। রেড, অরেঞ্জ, গ্রিন জোন মানলে এই সমস্যা হত না।’
ঘূর্ণিঝড় উমপুনের তাণ্ডব প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উমপুনের জন্য রাজ্যের ৬০ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। আগামী দিনে একই দুর্দশা যাতে না হয়, সিইএসসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’