WB Corona LIVE: রাজ্যে একদিনে করোনায় ১০৮ জনের মৃত্যু
Get Latest West Bengal Coronavirus Live Updates: স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯২৩ জন।
করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধা, জলই বন্ধ করে দিল প্রতিবেশীরা! আলিপুরদুয়ারে চরম অমানবিকতার শিকার ৩টি পরিবার। টিউবওয়েল ভেঙে দেওয়ায় দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত থাকতে হল নির্জলা। পরে পুরসভার হুঁশিয়ারিতে সমাধান।
রাজ্যে একদিনে করোনায় ১০৮ জনের মৃত্যু। রাজ্যে একদিনে ৮ হাজার ৮১১ জন করোনা আক্রান্ত। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে টানা শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় একদিনে আক্রান্ত ১,৮৪২, মৃত্যু ৩০ জনের। কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত ৯৭৬ জন, ২৭ জনের মৃত্যু। রাজ্যে সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হার ৯৪ শতাংশ।
করোনা আবহে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিতদের ভিড়। আপত্তি জানিয়ে থানায় জানান স্থানীয়রা। পুলিশ দেখেই পালিয়ে যান আমন্ত্রিতরা। জমায়েত হঠিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ঝুমঝুমির ঘটনা।গতকাল রাতে দাসপুর থানায় খবর আসে, করোনা বিধি উপেক্ষা করে ঝুমঝুমি গ্রামে ওই বিয়েবাড়িতে হাজারখানেক অতিথি আমন্ত্রিত হয়েছেন। এই ঘটনায় পাত্রী ও পাত্রর বাবার বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে দাসপুর থানার পুলিশ।
ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়েও সংঘর্ষ। হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাড়া। তৃণমূল ছাড়া কাউকে টিকা না দেওয়ার প্রতিবাদ করায় হামলা, অভিযোগ বিজেপির। দুষ্কৃতী হামলার বিরুদ্ধে জনরোষ, পাল্টা তৃণমূল।
শিল্প সংস্থা টাকা দিলে, কর্মীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে পারে সরকার। বণিকসভার সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন দেশে কাজ হারিয়েছেন সোয়া দু’কোটিরও বেশি মানুষ।বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই) এই পরিসংখ্যান পেশ করেছে। এই পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, এপ্রিল-মে, এই ২ মাসে দেশে কাজ হারিয়েছেন ২ কোটি ২৭ লক্ষ ৭০ হাজার জন। এই তথ্য পরিসংখ্যানকে কটাক্ষ করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর ট্যুইট, ‘সিএমআইই-র এই তথ্য অর্থহীন। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। জুন মাসের মাত্র দু’দিন কেটেছে। এরই মধ্যে বেসরকারি সংস্থা CMIE এপ্রিল-মে মাসের ডেটা জোগাড় করে ফেলল! সিএমআইই কি কংগ্রেসের কাছ থেকে রাজনৈতিক তথ্য জোগাড় করছে?’
কার্যত লকডাউনে শপিং মলে আংশিক ছাড়ের ভাবনা রাজ্য সরকারের। ২৫ শতাংশ ক্রেতা নিয়ে শপিং মল খোলা যেতে পারে। ১৫ জুনের পর নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৫ জুনের পর বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খুচরো দোকানকে ছাড়।
‘অনেক মানুষ ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। স্বাস্থ্য দফতরে জানান, গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে,’ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
রেস্তোরাঁ বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা যেতে পারে। কর্মীদের টিকা দিয়ে রেস্তোরাঁ খোলা যেতে পারে। কোভিড বিধি মেনে রেস্তোরাঁ চালানো যেতে পারে, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
বেশি মানুষ যাতে জমায়েত করতে না পারেন, সেটা দেখতে হবে। নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
বেশি মানুষ যাতে জমায়েত করতে না পারেন, সেটা দেখতে হবে। নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
নির্মাণ সংস্থাগুলি ভ্যাকসিন নিয়ে কর্মীদের কাজ করাতে পারে। বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ১.৪ কোটি ভ্যাকসিন দিয়েছি। ৬০-৭০ হাজার ভ্যাকসিন আমরা রোজ দিয়ে যাচ্ছি।
করোনা বিধি ভেঙে বিয়েবাড়িতে হাজার খানেক আমন্ত্রিতের ভিড় পশ্চিম মেদিনীপুরে।
ভ্যাকসিন-দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা। এর জেরে সাময়িকভাবে বন্ধ টিকাকরণ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পর, জানানো হয় এদিন শুধুমাত্র সরকারি তালিকাভুক্তদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অভিযোগ, সেই তালিকায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে কয়েকজনের নাম ঢোকানো হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও হাসপাতালের সুপারকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ঘটনাস্থলে যান ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা। আগাম তত্পর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে শিশুদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে। থাকছে ২০টি সিসিইউ বেড। খুব তাড়াতাড়ি এই ওয়ার্ড চালু করা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। এছাড়া, জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কাছে শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য চালু হচ্ছে দেড়শো বেডের কোভিড হাসপাতাল।
কড়া করোনা পরিস্থিতিতে রামপুরহাট শহরের কাছেই গবাদি পশু বেচাকেনার বেআইনি হাট চলছে রমরমিয়ে। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কিছুটা দূরে এই হাটে হাজারখানেক ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। প্রশাসনের নজরদারি উপেক্ষা করে কীভাবে এই হাট বসেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও চিকিত্সকরা। অভিযোগ পেয়ে রামপুরহাটের এসডিও ও এসডিপিও-র কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন বীরভূমের জেলাশাসক। খবর সম্প্রচারের পরেই হাটে হানা দেয় পুলিশ। বন্ধ করা হয় হাট. আটক করা হয়েছে ৫ জনকে।
কলকাতায় টিকাকরণের গতি বাড়াতে উদ্যোগ। আজ থেকে চালু হল ভ্যাকসিনেশন অন হুইলস। পোস্তা থেকেই প্রকল্পের সূচনা করলেন ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন শশী পাঁজা, অতীন ঘোষ।
শিয়ালদায় সেন্ট পলস মিশন স্কুলের একটি ভবনে চালু হল সেফ হোম। আপাতত এখানে পাঁচটি বেড থাকলেও, ভবিষ্যতে আরও বেড বাড়ানোর ভাবনা স্কুল কর্তৃপক্ষের।
ক্রমেই বেড়ে চলা ভ্যাকসিন-সঙ্কট মেটাতে বাজারে আসছে ভারতে উত্পাদিত দ্বিতীয় ভ্যাকসিন। চলতি বছরের অগাস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে শুরু হবে উত্পাদন ও মজুত করার কাজ শুরু হবে। ভ্যাকসিন উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ কোটি। কানাডার প্রভিডেন্স থেরাপিউটিক নামে একটি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই নতুন ভ্যাকসিন উত্পাদন করবে হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই।কোভিশিল্ড অথবা কোভ্যাক্সিনের মতো মৃত অথবা অর্ধমৃত ভাইরাসের দেহ থেকে নয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রযুক্তিতে ভাইরাসের mRNA-থেকে তৈরি হবে এই নতুন করোনা ভ্যাকসিন। কানাডায় এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। নতুন ভ্যাকসিনের জন্য দেড়হাজার কোটি টাকা অগ্রিম দেবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
করোনা আবহে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিতদের ভিড়। আপত্তি জানিয়ে থানায় জানান স্থানীয়রা। পুলিশ দেখেই পালিয়ে যান আমন্ত্রিতরা। জমায়েত হঠিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ঝুমঝুমির ঘটনা।গতকাল রাতে দাসপুর থানায় খবর আসে, করোনা বিধি উপেক্ষা করে ঝুমঝুমি গ্রামে ওই বিয়েবাড়িতে হাজারখানেক অতিথি আমন্ত্রিত হয়েছেন। বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পর, কনের পরিবারের সদস্যদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ভারতে করোনা সংক্রমণ এখনও উদ্বেগজনক। দৈনিক মৃত্যু ৩ হাজারের নীচে নামলেও, ফের বাড়ল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
করোনা পরিস্থিতিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স। চাকায় বাঁধা ছাগল। এই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বেঙদা গ্রামের। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে রাজ্য সরকারের জীবনসাথী প্রকল্পে সাংসদ তহবিলের টাকায় কেনা এই অ্যাম্বুল্যান্সটি তুলে দেওয়া হয় স্থানীয় ক্লাবের হাতে। অভিযোগ, তারপর থেকে পড়ে নষ্ট হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স। ক্লাব সম্পাদক তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা দায় ঠেলেছেন অ্যাম্বুল্যান্স চালকের ঘাড়ে। বিজেপির কটাক্ষ, করোনা আবহে সাধারণ মানুষকে চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়ার পরিবর্তে শাসকদল রাজনীতিতে ব্যস্ত।
করোনায় প্রয়াত রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তা গৌতম চৌধুরী। ভর্তি ছিলেন মেডিকা হাসপাতালে। এপ্রিল মাসের শেষ থেকেই ভর্তি ছিলেন বিভিন্ন হাসপাতালে। ভিনরাজ্য থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে আসা ও বণ্টনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাজ্য সরকারের নিখরচায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার দায়িত্বেও ছিলেন।
মাইকে প্রচার হচ্ছে। অথচ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়েও ভ্যাকসিন মিলছে না। এই অভিযোগে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ পুরসভায় বিক্ষোভ দেখালেন হকার ও পরিবহণকর্মীদের একাংশ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আসায় চাহিদা বাড়ছি। তাই সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি। জানালেন পুরসভার প্রশাসক।
রাজ্যে একদিনে ৯ হাজারের নীচে নামল দৈনিক সংক্রমণ। মৃত্যু হয়েছে ১৩৫ জনের।
প্রেক্ষাপট
করোনার সংক্রমণ আরও কমল পশ্চিমবঙ্গে। গতকালের পর আজ সংক্রমণ আরও কমে নেমে এল ৯ হাজারের নীচে। স্বাস্থ্য দফতরের আজকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৯২৩ জন। তবে করোনায় মৃত্যুর নিরিখে উদ্বেগ এখনও কমেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা, করোনায় মোট সংক্রমণ ৩ লক্ষের গণ্ডি পেরনোর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এই দুই জেলা। স্বজনহারার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের আজকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনায়। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৪০। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। কলকাতায় মারা গেছেন ৩৮ জন।
করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের টিকা-নীতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এই সংক্রান্ত একটি মামলায় মোদি সরকারের কড়া ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। আর এদিনই কেন্দ্রকে কার্যত ভ্যাকসিন নীতি বদলানোর পরামর্শ দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এ ব্যাপারে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়েছেন তিনি। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, ‘করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই টিকাকরণের বিষয়ে আরও সক্রিয় হতে হবে। কারণ যে সমস্ত দেশ টিকাকরণে জোর দিয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা ইচিবাচক ফল পেয়েছে। গোটা দেশে ভ্যাকসিনের যথাযথ বণ্টনের জন্য কেন্দ্র নিজেই উদ্যোগী হয়ে টিকা জোগাড় করুক এবং তা সমস্ত রাজ্যে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হোক। টিকা নিয়ে পারস্পরিক প্রতিযোগিতা ভুলে, রাজ্যগুলিরও ঐকমত্যে আসা উচিত।’
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -