কলকাতা: বিধিনিষেধে কিছু ছাড় দিলেও রাজ্যে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধই থাকছে লোকাল ট্রেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, গ্রামাঞ্চলে ৫০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হলে তবেই লোকাল ট্রেন চালু করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তৃতীয় ঢেউয়ের উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা। তৃতীয় ঢেউয়ের উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি জানান, ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হবে। গ্রামাঞ্চলে ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হওয়ার পরই লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি, নাইট কার্ফুর সময় পরিবর্তন হয়ে এখন রাত ১১টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত করা হল। এর আগে নাইট কার্ফু জারি হয়ে যেত রাত ৯টা বাজলেই। আসন্ন তৃতীয় ঢেউকে সামলাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, “ট্রেন না চলায় আপনাদের অসুবিধা হবে বুঝতে পারছি, কিন্তু তৃতীয় ঢেউকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখন থেকেই সতর্কতা জারি করা জরুরি। কলকাতার কাছাকাছি রাজ্যগুলি যেমন উত্তর ২৪ পরগনা, বর্ধমান, হুগলিতে ৫০ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন হলেই শুরু করে দেওয়া হবে লোকাল ট্রেন।”
এদিকে দেশে দৈনিক আক্রমণ পেরলো ৪০,০০০, মৃত প্রায় ৫০০। বৃহস্পতিবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা বাড়িয়ে গোটা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১,১৯৫ জন। দৈনিক স্বাস্থ বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯০ জন। বুধবার আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৮,৩৫৩ জন, মৃত্যু হয়েছিল ৩৭৩ জনের। বর্তমানে দেশে অ্যাক্টিভ কেস ৩,৮৭,৯৮৭। মার্চ মাস থেকে ধরা হলে, এটি সর্বনিম্ন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে একদিনে সুস্থতার হার সর্বোচ্চ ৯৭.৪৫%, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৯,০৬৯ মানুষ।
দেশের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত দক্ষিণ ভারতের কেরল। সে রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ২৩,৫০০ জন। তারপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র যেখানে একদিনে আক্রান্ত ৫,৫৬০ জন। উল্লেখ্য, দেশে দৈনিক আক্রান্তের হার এখন ১.৯৪ শতাংশ। দৈনিকের পাশাপাশি, সাপ্তাহিক আক্রান্তের হারও ৫ শতাংশের কম। এখনও পর্যন্ত, দেশে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৮.৭৩ কোটি মানুষের। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ অনুযায়ী, ১১ অগাস্ট পর্যন্ত, ৪৮,৭৩,৭০,১৯৬ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তার মধ্যে ২১,২৪,৯৫৩ জন পজিটিভ। ইতিমধ্যেই দেশে টিকাকরণের পরিমাণ বেড়ে এখন ৫২.৩৬ শতাংশ।