নয়াদিল্লি: ১৯৭৪-এ ইন্দিরা গাঁধী ও ১৯৯৮-এ অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে যে পোখরানে ভারত পরীক্ষামূলক পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে ট্যুইটে পরমাণু অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তানকে বার্তা রাজনাথ সিংহের। ভারত পরমাণু অস্ত্র প্রথম প্রয়োগ না করার নীতিতে অটল রয়েছে, তবে ভবিষ্যতে তার এই অবস্থান বদলাতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন তিনি, যার মধ্যে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারির সুর রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।




ভারত বরাবরই বলে আসছে, কখনই প্রথমে কারও আগে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না। শুক্রবার পোখরান সফরের মধ্যেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ট্যুইট করলেন, ভারত পরমাণু অস্ত্র প্রথমে না ব্যবহারের নীতিতে কঠোর ভাবে দায়বদ্ধ বটে, তবে ভবিষ্যতে কী হবে, তা তখনকার পরিস্থিতির ওপরই নির্ভর করবে। তিনি এও লিখেছেন, পোখরান হল সেই ক্ষেত্র যেখানে দেশ অটলজির ভারতকে পরমাণু শক্তিকে পরিণত করার, কিন্তু তবুও তা ‘প্রথম ব্যবহার না করা’র নীতিতে দৃঢ়ভাবে অটল থাকার শপথ দেখেছে। ভারত কঠোর ভাবে এই নীতি মেনে চলেছে। আগামীদিনে কী ঘটবে, তা তখনকার পরিস্থিতি দেখে ঠিক হবে।
প্রয়াত বাজপেয়ির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজনাথ। দীর্ঘ অসুস্থতার পর গত বছর আজকের দিনেই ৯৩ বছর বয়সে নয়াদিল্লির এইমসে জীবনাবসান হয় বাজপেয়ির। তাঁকে স্মরণ করে রাজনাথ আরেকটি ট্যুইট করেন, ভারতের দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মর্যাদা প্রাপ্তি এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে একটি জাতীয় গর্বের বিষয়। অটলজির মহান ব্যক্তিত্বের প্রতি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে দেশ।



জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির মাধ্যমে প্রত্যাহারের পর ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে চলতি টানাপড়েনের মধ্যেই রাজনাথের এই হুঁশিয়ারি। বিশেষ করে এমন একটি দিনে তা এল যেদিন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি নিজেদের মধ্যে রুদ্ধদ্বার আলোচনায় বসেছে ভারতের কাশ্মীর সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিয়ে।