নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করোনাভাইরাস মোকাবিলায় রবিবার সকাল সাতটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেশজুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালনের আহ্বানকে পূর্ণ সমর্থন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র। বৃহস্পতিবার রাতে দেশবাসীর প্রতি সম্প্রচারিত বার্তায় প্রধানমন্ত্রী একদিনের জন্য সচেতন থেকে জনসাধারণকে নিতান্ত প্রয়োজন না হলে বাইরে না বেরিয়ে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মারণ ভাইরাস সংক্রমণ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার এই পন্থা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনা হলেও তার প্রতি সমর্থনও প্রকাশ পাচ্ছে।
হু-র ভারতে নিযুক্ত প্রতিনিধি হেঙ্ক বেকেডাম প্রধানমন্ত্রীর জনতা কার্ফু পালন ও সোস্যাল ডিস্ট্যান্সিং অর্থাত সামাজিক স্তরে দূরত্ব গড়ে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার কৌশলকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, আমরা তাঁর এই আহ্বানকে সমর্থন জানাই। এই স্ট্র্যাটেজি ঠিকঠাক কার্যকর করা গেলে এই ভাইরাস ছড়ানো নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক দূর কাজ করবে। মোদির গতকালের ভাষণের পর হু এই বিবৃতি দিয়েছে।
বেকেডাম বলেছেন, হাত স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে ধোওয়ার পাশাপাশি জামাকাপড়ের হাতায় কাশা, হাঁচি দিলে সংক্রমণ রোধ হয়। সামাজিক দূরত্বের পাশাপাশি এইসব পদক্ষেপ সংক্রমণ ঠেকানোয় কার্যকরী হতে পারে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেও এই চ্যালেঞ্জ উতরে যেতে সহমর্মিতা জানিয়ে একজোট হয়ে চলাটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
গত ১১ মার্চ হু করোনাভাইরাসকে অতিমারী বলে ঘোষণা করার পর পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক, গভীর দুশ্চিন্তার হয়ে উঠেছে ভারত সহ বিশ্বের নানা দেশে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৩২ জন বিদেশি সহ ভারতে ১৯৫ জনের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এদেশে মারা গিয়েছেন ৪ জন। হু ফের সব দেশকে জোরকদমে সম্ভাব্য সংক্রামিতদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় চিকিত্সার বন্দোবস্ত করার আবেদনও করেছে।