কলকাতা: করোনা-মোকাবিলায় আপৎকালীন ফান্ড খুলেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার, এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তুললেন সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগও।
এদিন বিকেলে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা-বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার আগেই, মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কেন্দ্রের থেকে কোনও সাহায্য মিলছে না। তিনি বলেন, আমরা স্টেট ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড খুলছি। যাঁরা সাহায্য করতে চান অনলাইনে করতে পারবেন। সোমবার থেকে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সরকারি কর্মীদের মতোই বেসরকারি কর্মীদেরও হাজিরা কমিয়ে অর্ধেক করা উচিত বলে মনে করেন মমতা। বলেন, সামনের সপ্তাহ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সরকারি অফিসে ৫০% কর্মী। সরকারি কর্মীরা ই-অফিসের মাধ্যমে কাজ করবেন। কীভাবে করবেন, সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট সেটা ঠিক করবে।  আমি চাই বেসরকারি সংস্থাগুলোও হাজিরা কমিয়ে ৫০% করুক। ডাক্তার, নার্স, পুলিশ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের জন্য পরে স্পেশাল লিভ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

কলকাতায় এখনও আন্তর্জাতিক উড়ান নামছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। বলেন, কলকাতায় এখনও আন্তর্জাতিক বিমান আসছে। সিঙ্গাপুর, কাতার, দুবাই, ঢাকার ফ্লাইট এখনও আসছে কলকাতায়। ২২ তারিখ নয়, এখনই ফ্লাইট বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ, খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।  কারও এই রোগ হলে ভয় পাবেন না। রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। বিদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন নিজেকে আলাদা করে রাখুন। স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি না হলে বলপ্রয়োগ করতে পারে। তবে আমি মনে করি বলপ্রয়োগ করে কিছু হয় না।
করোনার প্রকোপ বাড়তেই, জনমানসে বেড়েছে অত্য়াবশ্যক জিনিস কেনার হিড়িক। বিষয়টি প্রসঙ্গে মমতা জানান, চিন্তার কোনও কারণ নেই। তিনি বলেন, ৬ মাসের খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়া হবে। পিডিএসে ২ টাকার চাল-গম বিনামূল্যে দেওয়া হবে।
মমতা স্বীকার করেন, বাজারে মাস্কের চাহিদা অনুযায়ী জোগান নেই। ফলে, একটা ঘাটতি রয়েছে। তিনি এর জন্য় ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করার সুপারিশ করেন। বলেন, মাস্কের খুব অভাব হলে টেম্পোরারি গেঞ্জির কাপড় পেঁচিয়ে মুখ ঢেকে রাখছি। আমি কাউকে বলছি না। আমি এটা ব্যবহার করি। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, কোয়ারেন্টিন মানে জেল নয়, নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য আলাদা করে রাখার জায়গা। হোমলি অ্যাটমোস্ফিয়ার।