বার্লিন: লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ কাড়ছে করোনাভাইরাস, যার উৎসস্থল চিন। সারা বিশ্ব এই অতিমারী-সঙ্কটের জন্য আঙুল তুলছে চিনের দিকেই। এবার সেখানে গিয়েই শিকড়ের সন্ধান করতে চায় হু। ঠিক কীভাবে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হল করোনাভাইরাস, এই প্রশ্নের উত্তর না জানলে অতিমারী প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, ভাবছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বুধবার হু-র মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান জানিয়েছেন, চিনে তাদের শাখা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখানে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখতে চান, কীভাবে জীবদেহে ঢুকে পড়ল এই ক্ষতিকর ভাইরাস, কীভাবেই বা সংক্রমণের সূচনা।
গত ফেব্রুয়ারিতে চিনে হু-র যে বিশেষজ্ঞ দলটি গিয়েছিল, তারা জানায়, করোনা ভাইরাস কোনও জীব থেকেই মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে। বলা হয়, বাদুরের শরীরে এই জীবাণু আছে, কিন্তু তা মানুষের শরীরে ঢুকল কী করে, তা জানা যায়নি।
করোনা সঙ্কট ভয়াবহ হয়ে ওঠার পর ট্রাম্প তো সরাসরি করোনাকে ‘চিনা ভাইরাস’ আখ্যা দিয়ে বলেন উহানে ইনস্টিটিউট অফ ভাইরেলজির গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে করোনা। যদিও বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিন।

চিনের প্রতি 'সদয়ভাব' দেখানোর জন্য কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের রোষের মুখে পড়ে হু। অনুদান বন্ধ করে দেন তিনি। যদিও হু-এর প্রস্তাবে এখনও সাড়া দেয়নি চিনের বিদেশমন্ত্রক।

অষ্ট্রেলিয়া ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও চিনকে মানবশরীরে করোনা সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে খতিয়ে দেখার আর্জি জানায়। যদিও চিন জানিয়েছে, তারা 'সঠিক সময়ে'ই পদক্ষেপ করবে। হু-কেও সবরকমের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে তারা। বেজিং এ এক সাংবাদিক বৈঠকে চিনা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, তারা তদন্তের অজুহাতে রাজনৈতিক স্বার্থে মহামারীকে ব্যবহার করার বিরোধিতা করে।