অ্যান্টিগা: প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হেলায় হারাল ভারত। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ৩১৮ রানে জয় পেল টিম ইন্ডিয়া। সহ অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের ১০২, হনুমা বিহারীর ৯৩ ও অধিনায়ক বিরাট কোহলির ৫১ রানে ভর করে দল দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট খুইয়ে ৩৪৩ রান করে। জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের টার্গেট ছিল ৪১৯। কিন্তু তারা ১০০ রানেই গুটিয়ে যায়।

৪১৯ তাড়া করতে নেমে ৭ রানে প্রথম উইকেট খোয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১ রানে আউট হন ক্রেগ ব্রেথওয়েট। এরপর ১০ রানে আউট হন জন ক্যাম্পবেল, তাঁর নিজের রান তখন ৭। জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা শামরা ব্রুকসও ২ রানের বেশি করতে পারেননি। দলের ১৩ রানের মাথায় সিমরন হেটমেয়ার আউট হন ১ রানে। সব মিলিয়ে দলের রান ২০ ছোঁয়ার আগেই ৫ উইকেট খুইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রবল চাপে পড়ে যায়। সব মিলিয়ে ২৬.২ ওভারে তারা ১০০-র বেশি এগোতে পারেনি। জশপ্রীত বুমরাহ পান ৫ উইকেট, ঈশান্ত শর্মা ৩ ও মহম্মদ সামি তুলে নেন ২ উইকেট।


আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে পিচ থেকে চমৎকার ফায়দা তোলেন বুমরাহ। ৮ ওভারের স্পেলে ৭ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৩ উইকেট। দুদিকেই বল সুইং করিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করেন বুমরাহ। মাত্র ১০ টেস্টে ৫০ টেস্ট উইকেট পাওয়ার বিরল রেকর্ডও করলেন তিনি। ঈশান্ত শর্মা ৩১ রানে পান ৩ উইকেট ও মহম্মদ সামি ১৩ রানে ২ উইকেট।

কেমার রোচ (৩৮), মিগুয়েল কামিন্স (অপরাজিত ১৯) ও রস্টন চেস (১২) ছাড়া আর কোনও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান দুসংখ্যার রান করতে পারেননি। রোচ ও কামিন্স শেষ উইকেটে ৫০ রান জোড়েন কিন্তু লজ্জাজনক পরাজয় এড়ানোর পক্ষে তা কিছুই ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথমদিকের কোনও ব্যাটসম্যান বুমরাহর আগুনে স্পেল সামলাতে পারেননি। ব্রেথওয়েট, ক্যাম্পবেলকে তুলে নেওয়ার পর তিনি প্যাভিলিয়নে পাঠান ড্যারেন ব্র্যাভো (২), সাই হোপ (২) ও  জ্যাসন হোল্ডারকে।

এটি ভারতের সবথেকে বেশি ব্যবধানে চতুর্থ টেস্ট জয়। প্রথমে রয়েছে দিল্লিতে, ২০১৫-১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৩৬ রানে জয়টি। এর ফলে ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি ২৭টি জয় পেলেন, তিনি ও এম এস ধোনি এখন সমান সমান। বিদেশের মাটিতে সব থেকে বেশি জয়ের হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (১১) টপকে গিয়েছেন তিনি।