নয়াদিল্লি: ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আরও বেশি করে যোগাসনের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আজ বলেন, ‘আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি থাকে, তাহলে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যোগাসনের বিভিন্ন কৌশল, বিভিন্ন আসন শিখতে হয়। কোনও ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। যাঁরা নিয়মিত প্রাণায়াম করেন, তাঁদের শ্বাসতন্ত্র ভাল থাকে। ফলে করোনা হওয়ার আশঙ্কা কম। যোগাসন করলে শুধু শারীরিকভাবেই শক্তিশালী হওয়া যায় না, মানসিক ভারসাম্য আসে,  আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ আসে এবং কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সাহায্য হয়।’


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যোগাসনের ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বিশ্বাস ও দেশের ভেদাভেদ থাকে না। বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারীর ফলে সবাই আরও বেশি করে যোগাসনের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছেন। যে ব্যক্তি নিয়মিত যোগাসন করেন, তিনি কঠিনতম পরিস্থিতিতেও নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যান না। নিজেকে সক্ষম রাখার জন্য, ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এবং ক্লান্ত না হয়ে একটানা কাজ করে যাওয়ার জন্য যোগাভ্যাস জরুরি। যোগাসন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। আমরা যদি শরীর ও মনের ভারসাম্য আনতে পারি, তাহলে সেদিন দূরে নয়, যখন সারা বিশ্বের মানুষ স্বাস্থ্যবান ও সুখী হয়ে উঠবেন।’

গীতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন যোগাসনকে সঙ্গী করে এগিয়ে যাই, আমাদের শক্তি অনেক বেড়ে যায়। আমাদের আজ শপথ নিতে হবে, আমরা সচেতন নাগরিক হিসেবে পরিবার ও সমাজকে নিয়ে এগিয়ে যাব। এ বছরের যোগ দিবসের থিম হল-বাড়িতে যোগাসন ও পরিবারের সঙ্গে যোগাসন। আমরা যোগাসনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান ও বিশ্ব কল্যাণের কথা বলছি।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ঘোষণা করা হয়, প্রতি বছর ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এরপর থেকে প্রতি বছর এই দিনটি যোগ দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। অন্যান্য বছরগুলিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হলেও, এবার করোনা সংক্রমণের জেরে কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠান হয়নি।