নয়াদিল্লি: রাজনীতি থেকে ধর্ম, জীবনচর্যা থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য, সব বিষয়েই সোজাসাপটা বক্তব্য রেখে থাকেন যোগগুরু রামদেব। বরাবর গেরুয়া শিবিরের কাছের লোক বলে পরিচিত রামদেব এবার গুণ গাইলেন রাহুল গান্ধীর। কংগ্রেস অধ্যক্ষের তারিফ করে বললেন, নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করি ঠিকই, কিন্তু বিপক্ষের সঙ্গে বিরোধিতা নেই। তবে কি মোদি-মোহ ভেঙেছে? উত্তরে যোগগুরুর জবাব, রাজনীতি এখনও ধর্ম নির্ভর। এটা অন্য দেশে নেই। সকলেই জাতির রাজনীতি করছেন। কৃষকরা যদি একজোট হয়, তবে সবকিছু বদলে যেতে পারে। রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা চরমে পৌঁছেছে। পক্ষ-বিপক্ষ সব সমান।


পতঞ্জলি কর্ণধার রামদেব আরও বলেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করি ঠিকই, কিন্তু বিপক্ষের সঙ্গে বিরোধিতা নেই। আর এখন তো রাজনৈতিক নেতা থেকে অভিনেতা, নিজের উদ্দেশ্যপূরণের জন্য দেশকে বাজি ধরে। নোটবন্দির মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আরও দূরদর্শিতার সঙ্গে জারি করা প্রয়োজন ছিল বলে মত রামদেবের। ২০০০ এর নোট চালু করা আমি সঠিক বলে মনে করিনা। আমি শুরু থেকেই এর বিরোধী।’

৩ রাজ্যে কংগ্রেসের জয়জয়কার প্রসঙ্গে যোগগুরুর সাফ কথা, রাহুল কাজ করেছেন, তাই ফল পেয়েছেন। ওদিকে মোদি, অমিত শাহ-রাও কাজ করছেন, তাঁরাও ফল পাবেন। তবে ২০১৯এ রাহুলকে কি প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান? সেই উত্তর সুকৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে কালো টাকা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন রামদেব। কিন্তু এখন তিনি কী বলবেন? হাসতে হাসতে জবাব এড়িয়ে যান যোগগুরু। তিনি বলেন, ‘আগে আমি সোজাসাপ্টা কথা বলতাম, তবে এখন অনেক ভেবেচিন্তে জবাব দিতে হয়। তবে সেটা কেন, আপনাদের বলতে পারব না।’

ব্যবসা প্রসঙ্গে রামদেবের বক্তব্য, ‘আমার নিজের কোনও সম্পত্তি নেই। যা করি, তা দেশের জন্য। আমার সংস্থায় কত মানুষ চাকরি পেয়েছেন।’

রামমন্দির প্রসঙ্গে যোগগুরু বলেছেন, ‘মন্দিরকে ইস্যু করে কখনই নির্বাচনে লড়া উচিত নয়। অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হবে না তো, আফগানিস্তান,পাকিস্তান,মক্কা বা ভ্যাটিকান সিটিতে হবে?’