দুর্গাপুর: ট্রায়াল শেষ। ভুবনেশ্বর থেকে দুর্গাপুরের কাঁকসার বাড়িতে ফিরলেন চিরঞ্জিৎ ধীবর। কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে ডাক পেয়েছিলেন কাঁকসার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। পশ্চিমবঙ্গের নিকটবর্তী আইসিএমআর অনুমোদিত ওড়িশার ভুবনেশ্বরের দ্য আইএমএস অ্যান্ড এসইউএম ট্রায়াল সেন্টারে হয়েছে এই পরীক্ষা।

হত ২৪ জুলাই দুর্গাপুর থেকে ভুবনেশ্বর রওনা  হয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ ধীবর। জুলাই থেকেই ভুবনেশ্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়ালের জন্য সেচ্ছাসেবকদের স্ক্রিনিং শুরু হয়। ২৭ জুলাই প্রথম পর্বের ট্রায়াল প্রয়োগের কাজও শুরু হয়। সেই স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যেই একজন ছিলেন চিরঞ্জিৎ।

কোভ্যাক্সিনের হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য তিনি উপযুক্ত কি না নিশ্চিত হতে ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের সমস্যা, কিডনি এবং লিভারের রোগ-সহ প্রায় ৫০ ধরনের টেস্ট করা হয় । সব রিপোর্ট ঠিক থাকায় গত ২৯ জুলাই তাঁর শরীরে প্রয়োগ করা হয় কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ। গত ১২ অগাস্ট প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ডোজও  চিরঞ্জিতের শরীরে প্রয়োগ করা হয় ।

ডোজের  ৭ দিন ও ১৪ দিনের মাথায় অ্যান্টিবডি টেস্ট করার জন্য ৫ এমএল করে রক্ত নেওয়া হয়। ২৬ অগাস্ট চব্বিশতম দিনে ব্লাড স্যাম্পেল নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে চিরঞ্জিৎকে। তিনি আপাতত সুস্থই আছেন। এরপর ১০৪ তম ও ১৯৪ তম দিনে শারীরিক পরীক্ষার জন্য চিরঞ্জিৎকে ফের ভুবনেশ্বর যেতে হবে।