তিরুঅনন্তপুরম: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শেষ হয়নি বলে কয়েকদিন আগেই সতর্ক করে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দেখা গিয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে এবার নতুন আতঙ্ক জিকা ভাইরাস। মশাবাহিত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কেরলের অন্তত ১৪ জন। তাঁদের মধ্যে ২৪ বছরের এক অন্তঃসত্ত্বাও আছেন।
কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, ‘তিরুঅনন্তপুরমের ১৩ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে জিকা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁদের নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ইফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়। সবারই নমুনা রিপোর্ট এসেছে। তাঁরা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।’
যে অন্তঃসত্ত্বা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত, তিনি মঙ্গলবার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাঁর বাড়ি কেরলের তিরুঅনন্তপুরম জেলায়। তিনি জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল চাকা চাকা দাগ নিয়ে ২৮ জুন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালেই তাঁর নমুনা পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় জিকা ভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা পাঠানো হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ইফ ভাইরোলজিতে। তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও, এই মহিলার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
এই মহিলা সম্প্রতি কেরলের বাইরে কোথাও যাননি বলেই জানা গিয়েছে। তবে তাঁর বাড়ি তামিলনাড়ু সীমান্তে। এক সপ্তাহ আগে তাঁর মায়ের শরীরেও জিকা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায়। ফলে এই ভাইরাসের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছে কেরলের স্বাস্থ্য বিভাগ।
মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায় জিকা ভাইরাস। প্রথমে জ্বর, শরীরের বিভিন্ন অংশে র্যাশ, গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে পঙ্গুও হয়ে গিয়েছেন। কয়েক বছর আগে ব্রাজিলে ছড়িয়ে পড়েছিল এই ভাইরাস। এবার এদেশেও হানা দিল জিকা। করোনার মধ্যে এই ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কেরল সরকার।