নয়াদিল্লি:  'ন'বছরে আকাশ, মাটি, পাতাল সব নিজের লোকেদের বিক্রি করে দিয়েছেন, কিছু ছাড়েননি', বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠক থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন বিজেপি বিরোধী জোটের লক্ষ্যে দ্বিতীয় বৈঠকে বসে কংগ্রেস, আপ, তৃণমূল, সিপিএম-সহ ২৬টি দল। তার পরই সাংবাদিক বৈঠকে এই বার্তা দেন কেজরিওয়াল।


কী বললেন আর?
'আজ থেকে ন'বছর আগে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতা এনেছিলেন ভারতের জনতা। এই ন'বছরে উনি চাইলে দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারতেন। কিন্তু কোনও ক্ষেত্র বরবাদ করতে বাকি রাখেননি উনি', আক্রমণ শানান কেজরিওয়াল। উদাহরণ হিসেবে প্রথমেই তোলেন রেল পরিষেবার কথা। বলেন, 'একবার রেলের সেকেন্ড ক্লাস টিকিট কেটে উঠে যান। বুঝতে পারবেন, ৪-৫ বছর আগে পর্যন্ত রেল পরিষেবা ঠিকঠাক ছিল। এখন পুরো শেষ হয়ে গিয়েছে।' দেশের অর্থনীতি ও রেল পরিষেবা নষ্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি বিমানবন্দর, জাহাজ সব বেচে দিয়েছেন মোদি, অভিযোগ কেজরিওয়ালের।  তাঁর মতে, যুবক, শ্রমিক, কৃষক থেকে শুরু করে গৃহবধূ, শিল্পপতি, দোকানদার সকলেই আজ তীব্র চাপে। সেই সকলের কথা মাথায় রেখেই,  দেশকে বাঁচাতে ২৬ দলের সম্মেলন, দাবি আপ প্রধানের। 'নয়া ভারত'-র কথা শোনা গেল তাঁর মুখেও। এমন এক ভারতে গড়তে হবে যেখানে অসুস্থ বৃদ্ধদের জন্য চিকিৎসার সুব্যবস্থা থাকবে, গরিব শিশুদের জন্য থাকবে শিক্ষা, যুবকদের জন্য থাকবে চাকরির সুযোগ। দেশে সুখশান্তিও থাকবে, আশ্বাস তাঁর।


নয়া নামকরণ...
এবার আর UPA নাম নিয়ে যে বিরোধীরা একছাতার তলায় আসছে না, তা একপ্রকার ঠিকই ছিল। পরিবর্তে সময়ের দাবি মেনে বিরোধীরা নতুন কোনও নাম বেছে নিতে চাইছিল। সেই মতই নতুন বিরোধী জোটের নাম প্রস্তাবের খবর সামনে আসছে। I-N-D-I-A বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স নামে একজোট হতে পারে বিরোধীরা। অন্তত সেরকমই প্রস্তাব রাখা হয়েছে ২৬ বিরোধী দলের মেগা ফ্রন্টের বৈঠকে। ২০২৪-এর বিজেপির বিজয়রথ থামাতে কোন কৌশলে লড়াই করা যায়, তা ঠিক করতে আজ বেঙ্গালুরুতে মেগা বৈঠকে বসেছে বিরোধীরা। গতকাল প্রথম দিনে সাধারণ আলোচনা হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। ডিনারও সারেন বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে, আজ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের জন্য মুখোমুখি হয়েছে ২৬টি দল। মহাজোটের কী নাম দেওয়া হবে তাও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। গতকাল ডিনারের সময়ই সব রাজনৈতিক দলের নেতার কাছ থেকে নতুন নামের প্রস্তাব চাওয়া হয়। সেই অনুযায়ী নাম নিয়ে আলোচনা করে ঐক্যমতে আসা হবে বলে ঠিক হয়। সূত্রের খবর, UPA-র প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীকে ফ্রন্টের নতুন সভাপতি ঘোষণা করা হতে পারে। আহ্বায়ক হতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার।


আরও পড়ুন:উপার্জন কোটি টাকার বেশি, উত্তরপ্রদেশের ইউটিউবারের বাড়িতে অভিযান আয়কর দফতরের