নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তার ঠিক পর পরই জামিন পেলেন আম আদমি পার্টির আর এক নেতা সঞ্জয় সিংহ (Sanjay Singh)। আবগারি দুর্নীতি মামলায় নাম ওঠার পর গত বছর অক্টোবর মাসে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছিস। গত ছ'মাস জেলবন্দি ছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার সঞ্জয়ের জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে সঞ্জয়ের জামিনের বিরোধিতা করেনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। (Delhi Liquor Police Case)
তিহাড়ের ২ নং জেলে বর্তমানে রাখা হয়েছে কেজরিওয়ালকে। এতদিন ওই জেলেই ছিলেন সঞ্জয়। কেজরিওয়ালের জন্য তাঁকে সোমবারই ৫ নং জেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবারই জামিন পেলেন তিনি।
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে AAP-এর রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। গত বছর অক্টোবর মাসে তাঁকে গ্রেফতার করে ED. মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই জামিন কোনও উদাহরণ তৈরির জন্য নয়। ED সঞ্জয়ের জামিনের কোনও বিরোধিতা করেনি বলে। বরং ED-র হাতে গ্রেফতারি এবং রিম্যান্ডের বিরুদ্ধে যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তার ভিত্তিতেই জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
আদালতে এদিন সঞ্জয়ের জামিনের বিরোধিতা করেনি ED. এই প্রথম আবগারি দুর্নীতি মামলায় AAP-এর সিনিয়র কোনও নেতা জামিন পেলেন। কেজরিওয়াল এবং দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনও এখনও বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। শর্তসাপেক্ষে সঞ্জয়কে জামিন দেওয়া হয়েছে। জেল থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক কাজকর্মে আবারও যোগ দিতে পারবেন তিনি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আর তিন সপ্তাহও বাকি নেই। সেই আবহে সঞ্জয়ের জামিনপ্রাপ্তিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে AAP. তবে সঞ্জয়ের জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি পিবি ভরালের বেঞ্চ জানায়, জামিনে মুক্ত থাকাকালীন আবগারি দুর্নীতি মামলা নিয়ে বাইরে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না তিনি।
সঞ্জয়ের জামিনের বিরোধিতা না করার সপক্ষে ED-র হয়ে এদিন আদালতে যুক্তি দেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু। তিনি জানান, সঞ্জয়ের কাছ থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। তিনি ২ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ, তা বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যেই যাচাই করে দেখা যাবে, তার জন্য হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই সঞ্জয়কে। এদিন জামিন পেয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় সঞ্জয়ের হ্যান্ডল থেকে লেখা হয়, 'সত্যমেব জয়তে'।
এর আগে যদিও হাইকোর্টে সঞ্জয়ের জামিনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের দাবি ছিল, আবগারি দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত ছিলেন সঞ্জয়। ২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের বাড়তি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছেন সঞ্জয়। তথ্যগোপন, দুর্নীতি ঢাকতে অপরাধমূলক কাজকর্মের আশ্রয়ও নিয়েছেন তিনি।