নয়াদিল্লি: বিরোধী ঐক্যে যাতে চিড় না ধরে, তার জন্য বড় সিদ্ধান্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির। আসন্ন মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দাঁড় করাবে না তাঁর দল। বরং শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)-ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এবং কংগ্রেসের 'মহা বিকাশ আঘাডি' জোটের হয়ে প্রচারে যাবেন কেজরিওয়াল। I.N.D.I.A জোটকে ঐক্যবদ্ধ রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে দিল্লি সূত্রে। (Maharashtra Assembly Elections 2024)


আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, 'মহারাষ্ট্র নির্বাচনে, দলের জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল মহা বিকাশ আঘাডি প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন। মহারাষ্ট্র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে না আম আদমি পার্টি'। (Arvind Kejriwal)


আম আদমি পার্টির একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, 'মহা বিকাশ আঘাডি' জোটের তরফে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কেজরিওয়ালকে প্রচারে যেতে অনুরোধ করা হয়েছিল তাদের তরফে। শুধু তাই নয়, আসন্ন ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনেও I.N.D.I.A জোটের শরিক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেনের হয়ে প্রচারে যাবেন কেজরিওয়াল। 



মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে আগামী ২০ নভেম্বর ভোটগ্রহণ। ঝাড়খণ্ডে দু'দফায় ভোটগ্রহণ, ১৩ এবং ২০ নভেম্বর।  ফল ঘোষণা ২৩ নভেম্বর। জাতীয় স্তরে আম আদমি পার্টি I.N.D.I.A জোটের শরিক। তবে বিধানসভা নির্বাচনে এর আগে অন্য ছবি ধরা পড়েছে। গুজরাত, গোয়ায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে দেখা যায় AAP-কে। সম্প্রতি হরিয়ানাতেও প্রার্থী দেয় আম আদমি পার্টি। পঞ্জাবে একেবারে মুখোমুখি লড়াই হয়েছে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও সমীকরণ তেমনই থেকেছে।


তবে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে অন্য রাস্তা ধরছে আম আদমি পার্টি। দুই রাজ্যেই কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে। মহারাষ্ট্রে জোটের বলে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া তারা। ঝাড়খণ্ডে সোরেন সরকার ফের ক্ষমতায় আসতে লড়াইয়ে নামছে। তাদের শরিক কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে,  জাতীয় স্তরে বিরোধী জোট একছাতার নীচে থাকলেও, রাজ্যভিত্তিক ভোটে জোটের অন্দরে দ্বিমত রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে তার প্রভাবও পড়ে। তাই বুঝেশুনেই মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে আম আদমি পার্টি। সম্প্রতি হরিয়ানায় 'একলা চলো' নীতি নিয়ে মাঠে নেমে সুফল পায়নি তারা। তাই জোটের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখেই চলার পন্থা নেওয়া হচ্ছে।