নয়াদিল্লি: পাকিস্তানে শিখ সম্প্রদায়ের দুই মেয়েকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তকরণের চেষ্টার অভিযোগ। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এবার এই ঘটনার কড়া নিন্দা করল ভারত। রবিবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তানকে এই ধরনের ঘটনা বন্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে ভারত।


বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার রবিবার বলেছেন যে, ভারতের নাগরিক সমাজ ও আপামর দেশবাসী শিখ সম্প্রদায়ের দুই মেয়েকে বলপূর্বক বিয়ের পর জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে।

ঘটনার প্রতিবাদে আগেই সরব হয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। অবিলম্বে ‘দৃঢ় ও তাৎক্ষণিক' পদক্ষেপ করার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। ট্যুইটে অপহৃতের পরিবারের একটি ভিডিও আপলোড করে অমরিন্দর সিং লেখেন, ‘পাকিস্তানের নানকানা সাহিবে এক শিখ পুরোহিতের কন্যাকে অপহরণ করা হয়েছে ইসলামে ধর্মান্তকরণের জন্য। অত্যন্ত জঘন্য ঘটনা। ইমরান খানকে দৃঢ় ও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকেও বিষয়টি দেখার ও পাক বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেছি।'

গুরু নানকের জন্মস্থান নানখানা সাহিবের শিখ সম্প্রদায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। সর্বজিৎ সিংহের বোন দলবীর কৌর পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান বরাবরই পিছন থেকে ছুরি মারতে ভালবাসে। কোনওদিনই ওরা ভারতের বন্ধু হতে পারবে না। তবে এই ঘটনা সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে এবং মানবিকতাকে হত্যা করেছে। বোন ও কন্যাদেরপ সম্ভ্রমরক্ষায় আমাদের পূর্বপুরুষরা প্রাণ দিয়েছেন।’ দলবীর আরও বলেছেন, ‘খলিস্তানপন্থী নেতা গোপাল সিংহ চাওলা, গুরপতবন্ত সিংহ পান্নু ও আমার ভাই নভজ্যোৎ সিংহ সিধু কেন এ ব্যাপারে নীরব, সেটাও জানতে চাই। আমি সমস্ত ভারতবাসীকে আবেদন করব রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করুন। এটা ভীষণ লজ্জাজনক, নিন্দনীয়, গর্হিত অপরাধ।’