নয়া দিল্লি : বঙ্গ-রাজনীতির অন্যতম সেরা মুখ তিনি। তৃণমূলের 'সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড'। ভবিষ্যতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও হতে পারেন, এমন জল্পনাও পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে সলতে পাকিয়েছে । শুধু কি বাংলার রাজনীতি ? তাঁর দায়িত্বে এখন দেশের অন্যান্য প্রান্তও। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের মতো রাজ্যে ঘাসফুল ফোটানোর দায়িত্বও এখন তাঁর কাঁধে। যাতে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলা যায়। রাজনৈতিক মহলে এমন কানাঘুষোও রয়েছে, জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি পূর্ণ মাত্রায় পা রাখতে চান, তাহলে রাজ্যস্তরে তিনিই হয়ে উঠতে পারেন দলের সর্বেসর্বা। এহেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আপাদমস্তক ব্যস্ত রাজনীতিকের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহল কার না থাকবে ! তারই নিরসনের চেষ্টা করল এবিপি নিউজ।


মেঘালয়ে ভোট-ব্যস্ততার মাঝেই এবিপি নিউজের প্রতিনিধি মনোজ্ঞা লোইওয়াল-কে দিলেন একান্ত সাক্ষাৎকার। সেখানেই উঠে এল অভিষেকের প্রিয় রাজনীতিক থেকে শুরু করে পছন্দের সিনেমা, প্রিয় অভিনেতার প্রসঙ্গ। ব়্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে নিজেকে উজার করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।   


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : প্রিয় সিনেমা ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : এখন 'পাঠান' ।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : প্রিয় গান ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : বাংলার মাটি, বাংলার জল


ড্রিমারস


বেশরম রং


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : প্রিয় রাজনৈতিক নেতা ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহাত্মা গান্ধী।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : পছন্দের অবসর-যাপন ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : গান শোনা


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : প্রিয় বই ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : The Monk Who Sold His Ferrari ('দ্য মঙ্ক হু সোল্ড হিজ ফেরারি')।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : পছন্দের খাবার ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : বাড়িতে রান্না করা ঘরোয়া খাবার।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : কতটা ওজন ঝরিয়েছেন ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : প্রায় ২৫-৩০ কেজি।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : কোন জিনিসটা ছাড়া বাড়ি থেকে বের হন না ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : মোবাইল ফোন।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : কোন বিষয়ে চিন্তিত হন ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : কাজের উত্তেজনায়


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : কলকাতা ছাড়া পছন্দের শহর ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : নিউইয়র্ক।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : কোন স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : এমন তো কিছু নেই। কারণ, এখন আমার সবে ৩৫ বছর বয়স। হয়তো ৫-১০ বছর পর পূরণ হয়ে যাবে। 


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : প্রিয় বক্তা ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : সুষমা স্বরাজ। আন্তর্জাতিক স্তরে বারাক ওবামা।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : প্রিয় অভিনেতা ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : অমিতাভ বচ্চন।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : প্রিয় অভিনেত্রী ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : মাধুরী দিক্ষিত ও দীপিকা পাড়ুকোন।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : প্রিয় ওয়ান-লাইনার ('বেদবাক্য') ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : যখন আমি ক্লাস টেন/ইলেভেনে পড়ি সেই সময় আমাকে একজন বলেছিলেন, ইউ আর ইয়ং অনলি ওয়ান্স, অ্যান্ড ইফ ইউ ওয়াক ইট রাইট, দেন ওয়ান্স ইজ এনাফ।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : সবথেকে বড় ভয় ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : যেদিন মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেবে  ।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : জীবনের প্রথম বিমান-যাত্রা কেমন ছিল ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : আমি যখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে, সেই সময় দিল্লি থেকে কলকাতা গিয়েছিলাম। লিভার সিরোসিসে আমাদের এক আত্মীয় মারা গিয়েছিলেন। সেই যাত্রার খুব অস্পষ্ট স্মৃতি রয়েছে। কারণ, প্রায় ২৫ বছর পেরিয়ে গেছে। 


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : কখনো কাউকে প্রেম-প্রস্তাব করেছেন বা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : না । কোনও মেয়ের কাছে গিয়ে 'আই লাভ ইউ'বলার মতো ছেলে ছিলাম না। বরঞ্চ অনেকবার উল্টোটাই হয়েছে। তাছাড়া আমি বিবাহিত। আমার সময়ও নেই।


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : সন্তানদের উদ্দেশে কী বার্তা দেবেন ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : ভাল মানুষ হও। 


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : কী কারণে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : এটা ভেবে যে বাবা-মাকে যথেষ্ট সময় দিতে পারি না। তাঁদের বয়স হচ্ছে। 


মনোজ্ঞা লোইওয়াল : জনসমক্ষে কখনো কেঁদেছেন ?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় : না।