নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির (JNU) পড়ুয়াদের লক্ষ্য় করে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল এবিভিপির (ABVP) বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বসন্তকুঞ্জ থানা পর্যন্ত মিছিল করলেন জেএনইউ-র পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর (India: The Modi Question), স্ক্রিনিং চলছিল জেএনইউতে। তখনই এই হামলা বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের 'শান্তি বজায় রাখতে' ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল তথ্যচিত্রটি।


নরেন্দ্র মোদি এবং গুজরাত হিংসা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর অব্যাহত। তার মধ্যেই গতকাল রাত ৯টায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র দেখানোর আয়োজন করা হয়। দেখানো শুরু হওয়ার  পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর নিজেদের মোবাইল এবং ল্যাপটপে বিবিসির তথ্যচিত্র দেখেন পড়ুয়ারা। এর পরেই পড়ুয়াদের উপর পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে এভিবিপির বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদে আজ রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন এসএফআই সমর্থকরা। উল্লেখ্য, সোমবার হায়দ্রাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিসির তথ্যচিত্র দেখানো হয়। তথ্যচিত্রটি দেখতে হাজির ছিলেন ৫০ জনের বেশি পড়ুয়া।


দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) বিবিসি-র তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’-এর (India: The Modi Question) প্রদর্শন বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় সম্প্রতি। গত রবিবার কেন্দ্রের তরফে গুজরাতের সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে তৈরি বিবিসি-র তথ্যচিত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তার পরেই সোমবার এই নির্দেশিকা জারি করেছেন জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবারপড়ুয়াদের একাংশ ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছিল। তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকায় বলেছেন, 'এই ধরনের অননুমোদিত কার্যকলাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সম্প্রীতি বিঘ্নিত করতে পারে।'


 






দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয় এক ঘণ্টার এই তথ্যচিত্রে। এরপর ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি।