নয়াদিল্লি: ফের তপ্ত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (Jawaharlal Nehru University)। এবার শিবাজী মহারাজের (Shivaji Maharaj) ছবি বিকৃত (Photo Tamper) করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি বাধল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) ও বাম-পরিচালিত জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের (JNUSU)মধ্যে। এবিভিপি-র সদস্যদের অভিযোগ, শিবাজী জয়ন্তী উপলক্ষ্যে স্টুডেন্ট অ্যাকটিভিটি সেন্টারে শিবাজী মহারাজের একটি ছবি লাগিয়েছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, এসএফআই সদস্যরা সেটি বিকৃত করে দিয়েছেন। এই ঘিরেই অশান্তি শুরু।


কী ঘটেছিল?
সংবাদসংস্থা এএনআইকে জেএনইউ, এবিভিপি-র সভাপতি উমেশ চন্দ্র অজমেরা বলেছেন, 'স্টুডেন্ট অ্যাকটিভিটি সেন্টারে শিবাজী জয়ন্তী উপলক্ষ্যে একটি ছবি রেখেছিলাম। কিন্তু এসএফআইয়ের সদস্যরা ওই ছবি রুমের বাইরে ছবিটি ফেলে দিয়েছেন, মালা ডাস্টবিনে পড়ে রয়েছে।' উমেশদের অভিযোগ, 'কমিউনিস্টদের' এই শ্রদ্ধার্ঘ সহ্য হয়নি। তাই এমন কীর্তিকলাপ করেছে তারা। এতেই শেষ নয়। এবিভিপির তরফে আরও অভিযোগ, এর নেপথ্যে যাঁরা ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকে বহিরাগত। কোনও অনুমতি ছাড়াই কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকেছিলেন, এমনও দাবি উমেশ চন্দ্র অজমেরার। তাঁর কথায়, 'আমরা যখন ওঁদের থামাতে গিয়েছিলাম, ওঁরা বললেন এটি করবই। কারণ মার্কস ও লেনিনের আদর্শ ছাড়া আর কাউকে মানি না। এমনকি আইডি কার্ড চাইলেও দেখাতে পারেননি।' জেএনইউ কর্তৃপক্ষের কাছে এবিভিপির জোরাল আর্জি, এই ঘটনায় কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।


প্রতিক্রিয়া ছাত্র সংসদের...
জেএনইউ এনএসইউ-র যুক্তি, 'জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিদের অনুমতি ছাড়াই সংসদের দফতরে শিবাজী মহারাজের ছবি রেখেছিলেন এবিভিপি সদস্যরা। বেআইনি ভাবে বিষয়টি করা হয়েছে। তাই বাকি পড়ুয়ারা এসে ওই ছবি-সহ সমস্ত ছবি সরিয়ে দেন। সেই সময়ই দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।' ঘটনা হল, এর আগেও দুই তরফের সংঘর্ষে তেতে উঠেছে দেশের অন্যতম সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশেষত ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যে ঘটনা ঘটেছিল, তা গোটা দেশে তোলপাড় ফেলে দেয়। মুখে কাপড় বাধা, হাতে লাঠি-রডধারী দুষ্কৃতীদের মারে রক্তাক্ত হন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তৎকালীন সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। মারের হাত থেকে রেহাই পাননি অধ্যাপিকারাও। হামলার দায় নিয়ে একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে এবিভিপি ও বামেরা। কংগ্রেসের তথ্যানুসন্ধান কমিটি জানায়, জেএনইউ-তে যে হামলা হয়েছিল, তা ‘রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট’ ছিল। পাশাপাশি নিজেদের রিপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্যের অপসারণ ও তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের সুপারিশও করে ওই কমিটি। তার পরও শান্ত থাকেনি ক্যাম্পাস।


আরও পড়ুন:লন্ডন ফ্যাশন উইকে 'ইন্ডিয়া ডে', জয়জয়কার খাদির পোশাকের