রায়ে বেঞ্চ বলেছে, একজন পুরুষ বা নারী কীভাবে জীবন কাটাবেন, সেটা সমাজ ঠিক করে দিতে পারে না। সংবিধান প্রত্যেককে জীবনের অধিকারের গ্যারান্টি দিয়েছে। জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার একটি মানুষের জীবনের অধিকারেরই গুরুত্বপূর্ণ দিক। বর্তমান মামলায় মেয়েটির অভিভাবকরা ঠিক করে দিতে পারে না কীভাবে সে জীবন কাটাবে, কেননা সে প্রাপ্তবয়স্ক। অভিভাবকরা তাদের শর্তে সন্তানকে জীবনযাপনে বাধ্য করতে পারে না।
বর্তমান মামলায় ছেলেটি ও মেয়েটি নিজেদের জীবন, স্বাধীনতার অধিকারের সুরক্ষা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানায়, তাদের মারাত্মক পরিণতি হবে বলে মেয়েটির পরিবার থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তারা নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করলেও ফতেগড় সাহিবের এসএসপি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আদালত ছেলে-মেয়েটির পিটিশনের ওপর আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তাদের সুরক্ষার আর্জির ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিয়েছে এসএসপি-কে।
আদালতকে বলা হয়, মেয়েটির বয়স ১৯, ছেলেটির ২০। দুজনে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু মেয়েটির অভিভাবকরা দুজনের সম্পর্কের কথা জানতেই বিরোধ শুরু হয় দুটি পরিবারের মধ্যে। হাতাহাতি, মারধর পর্যন্তও গড়ায় বিষয়টি। মেয়েটিকে ঘরে আটকে পর্যন্ত রাখে বাড়ির লোকজন। তবে সে ২০ ডিসেম্বর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যায়। তারা দুজনে একসঙ্গে থাকতে শুরু করে।
আদালত বলেছে, কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ, সেটা ঠিক করার পূর্ণ স্বাধীনতা মেয়েটির আছে।