নয়া দিল্লি : দূতাবাসের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে আজ নিরাপদে দেশে ফিরেছেন আফগানিস্তানে ভারতীয় দূত রুদ্রেন্দ্র ট্যান্ডন। মঙ্গলবার সকালে তালিবান অধিকৃত কাবুল থেকে ফিরে আসার পর সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। জানান, আফগানিস্তানের রাজধানীর সম্পূর্ণ দখল নিয়েছে তালিবান।
তিনি বলেন, এই জঙ্গি সংগঠনের তরফে রাজধানী কাবুল ও অন্যান্য প্রদেশে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দাবি করা হয়েছে। এখন সেখানকার পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। সেখানকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। তবে, আমরা দেশে ফিরে এলেও এমনটা নয় যে, আমরা আফাগনিস্তানের মানুষকে পরিত্যাগ করেছি। ওঁদের কল্যাণ এবং ওঁদের সাথে সম্পর্ক আমাদের মনে রয়েছে। আমরা ওঁদের সাথে কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমি ঠিক বোঝাতে পারব না যে, কীভাবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।
কাবুলে আটকে পড়া বাকি ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ক্রমাগত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। কারণ সেখানে এখনও কিছু ভারতীয় নাগরিক রয়ে গেছেন। তাই কাবুলের বিমানবন্দর যতদিন কাজ করবে ততদিন এয়ার ইন্ডিয়া তার বাণিজ্যিক পরিষেবা চালিয়ে যাবে। বিমানবন্দরের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে সাময়িকভাবে এয়ার ইন্ডিয়াকে তার বাণিজ্যিক পরিষেবা স্থগিত রাখতে হয়েছিল। আমরা এটা নিশ্চিত করব যে যে কেউ সেখানে আটকে আছেন তাঁকে যাতে এখানে ফিরিয়ে আনা যায়। যার জন্য বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে কাজ করছে।
তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকেই সেদেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। তালিবান আতঙ্কে নিজের মাটি ছেড়ে দূরে পালিয়ে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টার ছবি দেখা গেছে গতকালই। গতকাল উড়ন্ত বিমান থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এর পরও দেখা যাচ্ছে মর্মান্তিক ছবি। কাবুল বিমানবন্দরের দিকে দৌড়াতে দেখা গেছে মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের। এমনকী আমেরিকার বায়ুসেনার বিমানে ঝুলে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টাও করেন কেউ কেউ। তাতেই বিমান থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনা।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান AI244 ১২৯ জন যাত্রীকে কাবুল থেকে দিল্লি নিয়ে আসে। তাঁরা দেশে ফিরে মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের পরিস্থিতি সত্যিই খারাপ। এর পর আজ ১২০ জন ভারতীয় আধিকারিককে নিয়ে ফেরে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ বিমান। গুজরাতের জামনগরে বিমানটি অবতরণ করে।