ওয়েলিংটন: বিদ্যুৎ গতিতে তাঁর বল ব্যাটসম্যানের দিকে ধেয়ে আসছে। কখনও তা মাথায় আঘাত করছে, কখনও তা পাঁজরে আঘাত করছে। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে শেন বন্ডকে দেখলেই ভয়ে কাঁপতেন তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানরা। ফের একবার দেশের জার্সি গায়ে ২২ গজে দেখা যাবে প্রাক্তন এই তারকা পেসারকে।


তবে এবার দায়িত্বটা একটু আলাদা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নিউজিল্যান্ড দলের কোচিং স্টাফের তালিকায় বন্ডকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরের সঙ্গে রয়েছেন বন্ড। যার জন্য আমিরশাহিতেই থাকবেন সেই সময়টা। আইপিএল শেষ হওয়ার পর সরাসরি নিউজিল্যান্ড দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। শুধু বিশ্বকাপেই নয়। এরপর ভারতের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দায়িত্ব সামলাবেন বন্ড। 


নিউজিল্য়ান্ডের কোচ গ্যারি স্টিড মনে করেন বন্ড যোগ দেওয়ায় তা দলের প্লেয়াররা ভীষণ উপকৃত হবেন। তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'বন্ডের অভিজ্ঞতা আমাদের ছেলেদের দারুণ কাজে আসবে। আমি অনেকটাই চাপমুক্ত। ওঁ ছেলেদের ভালমতো জানে। ছেলেরা ভীষণ উপকৃত হবে ওঁর কোচিংয়ে। আমিরশাহিতে টুর্নামেন্টে স্পিন ও পেস বোলিং বিভাগের সঙ্গে কাজ করে ভুলত্রুটি ঠিক করে দিতে পারবে বন্ড।' এর আগেও নিউজিল্যান্ড দলের বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন বন্ড। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। এছাড়াও নিউজিল্যান্ড এ দল ও বিগ ব্যাশেও কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। 


নিজের কেরিয়ারে ১৮টি টেস্ট, ৮২টি ওয়ান ডে ও ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন বন্ড। ৪৪ বছর বয়সী এই প্রাক্তন তারকার প্রসঙ্গে কিউয়ি কোচ আরও বলেন, 'নিউজিল্যান্ড দলের ছেলেদের সঙ্গে এর আগেও কাজ করেছে ওঁ। বিভিন্ন সময় ক্যাম্পও করেছে। আবারও একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ এসেছে। ছেলেরা বন্ডকে ভীষণ শ্রদ্ধা করে। আমার বিশ্বাস ওঁর পরিকল্পনা দলের উন্নতিতে কাজ করবে।'


উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৪ মে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান শেন বন্ড।