ওয়াশিংটন ডিসি(আমেরিকা) : আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর পরই ক্ষমতা বাড়িয়ে গোটা দেশের দখল নিয়েছে তালিবানরা। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে চরম বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় বহু মানুষ দেশ ছাড়ছেন। আফগানিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে এসেছেন সে দেশের বেশ কয়েক জন সাংসদ ও সরকারি আধিকারিকও। পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন আফগান সংসদের অধ্যক্ষ মীর রহমান রহমানি। তাঁর সঙ্গেই ইসলামাবাদের রাস্তায় হেঁটেছেন ইউনুস কানুনি, মুহাম্মদ মুহাকেক, করিম খলিলি, আহমদ ওয়ালি মাসুদ ছাড়াও সাংসদ আহমেদ জিয়া মাসুদ। দেশের এই পরিস্থিতির জন্য এবার বাইডেন প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে প্রতিবাদে সরব হলেন আমেরিকায় বসবাসকারী আফগানরা। হোয়াইট হাউসের সামনে প্রতিবাদে সামিল হলেন তাঁরা।
তালিবানরা কাবুলের দখল নেওয়ার পর পরই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে হোয়াইট হাউসের বাইরে প্রতিবাদ জানান আফগানরা। তাঁরা স্লোগান তোলেন, বাইডেন, আপনি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বাইডেন আপনিই এর জন্য দায়ী।
আফগানিস্তান সংকটের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ফরজানা হাফিজ নামে প্রতিবাদকারী এক মহিলা। তিনি বললেন, তালিবানরা আমাদের লোকেদের হত্যা করছে। ওখানে মেয়েদের আর কোনও স্বাধীনতা থাকবে না। সাধারণ মানুষের খেয়াল রাখার কেউ নেই ওখানে।
আফগানিস্তানের প্রাক্তন সাংবাদিক হামদার্ফ গফুরি বলেন, ২০ বছর পর আমরা ২০০০ সালে ফিরে গেলাম। আমরা শান্তি চাই। যদি তালিবানরা ক্ষমতা দখল করে, তাহলে হাজার হাজার ওসামা বিন লাদেন, হাজার হাজার মোল্লা ওমর তৈরি হবে। তারা পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাবে। গোটা মধ্য এশিয়ায় অরাজকতা তৈরি করবে।
রবিবার রাজধানী কাবুল দখল করেছে তালিবান। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসের দখল নিয়েছে তালিবান জঙ্গিরা। রবিবার তালিবান কাবুলে প্রবেশ করতেই দেশ ছেড়ে তাজিকিস্তানে পাড়ি দিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি। তবে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হামিদুল্লা মুহিব। তালিকায় নাম রয়েছে প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক অফিসের প্রধান ফজল মাহমুদ ফজলির। আফগানিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে এসেছেন সে দেশের বেশ কয়েক জন সাংসদ ও সরকারি আধিকারিকও।