নয়াদিল্লি: নেপালের পর এবার আফগানিস্তান। ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারতের আর এক পড়শি দেশ। এক বার নয়, পর পর তিন বার কম্পন অনুভূত হয়। শনিবার তীব্র কম্পন অনুভূত হয় আফগানিস্তানের পশ্চিম অংশে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে স্থানীয় সময় অনুযায়ী, দুপুর ১২টা বেজে ৪২ মিনিটে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় আফগানিস্তানে। (Afghanistan Earthquake)


পর পর তিনবার কম্পন, তীব্রতা যথাক্রমে ৬.১, ৫.৬, ৬.২


এখনও পর্যন্ত যে খবর মিলেছে, সেই অনুযায়ী, স্থানীয় সময় অনুযায়ী, শনিবার দুপুর ১২টা বেজে ৪২ মিনিটে সবচেয়ে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। সেবার কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.২। তার আগে, ১২টা বেজে ১৯ মিনিটে যে কম্পন অনুভূত হয়, তার তীব্রতা ছিল ৫.৬। আর প্রথম বার ১২টা বেজে ১১ মিনিটে যে কম্পন অনুভূত হয়, রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৬.১। (Afghanistan Situations)


ভূমিকম্প প্রবণ দেশ হিসেবেই পরিচিত আফগানিস্তান। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চল এলাকায় প্রায়শই ভূমিকম্প হয়। ইউরেশিয়ান এবং টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত বলেই এমনটা ঘটে। এদিনের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হেরাট শহরের ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।  এই হেরাট শহরটি ইরান সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত।  আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত হেরাট। ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাঙ্ক জানায়, ১৯ লক্ষ মানুষের বসবাস সেখানে। তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।


আরও পড়ুন: Israel-Palestine Conflict: ৭৫ বছর ধরে যুদ্ধ-সংঘর্ষ, হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘাতের ইতিহাস দীর্ঘ


সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হেরাটের বাসিন্দা বশির আহমেদ বলেন, "আফিসে ছিলাম। হঠাৎ গোটা ভবন কেঁপে উঠল। দেওয়াল থেকে চাঙড় খসে পড়তে লাগল। ফাটল ধরতে শুরু করে চারিদিকে। হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে শুরু করে সবকিছু। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করতে পারিনি। মোবাইল-ইন্টারনেট নেটওয়র্ক কাজ করছে না। "


এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে




আফগানিস্তান স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কমপক্ষে ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে, গতবছর জুন মাসেও ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের পাকতিকা।  সেবার কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৯। তাতে ১০০০-এর বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। ঘরছাড়া হন ১০ হাজারের বেশি মানুষ।