আবু ধাবি : আফগানিস্তান থেকে পালানোর পর এবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘনি। ভিডিয়ো বার্তায় ফের আফগানিস্তানে ফেরার কথা বলেছেন তিনি। ঘনি জানিয়েছেন, ফেরার বিষয়ে কথাবার্তা চলছে তাঁর।


মাঝে তিন দিনের ব্যাবধান। তালিবান কাবুল দখল করার পরই দেশ ছেড়ে পালান আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।মাঝের কদিন মুখ খোলেননি তিনি। এবার ভিডিয়ো বার্তায় আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করলেন আশরফ ঘনি। এদিন তিনি বলেন, ''আবাদুল্লা আবদুল্লা ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে সরকারের আলোচনার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমি চাই এই উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখুক।''


আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক অতীত বলছে, রবিবার তালিবান জঙ্গিরা রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করতেই পালিয়ে যান ঘনি। বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তরফে জানানো হয়, সেদেশে আশ্রয় নিয়েছেন প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট। মানবিকতার কারণে তাঁকে আমিরশাহিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এরপরই ভিডিয়ো বার্তায় নিজের বিষয় প্রকাশ্যে আনেন ঘনি।


সম্প্রতি আফগানিস্তান দখলের পরই সুর নরম করে তালিবান। প্রেস কনফারেন্স করে তারা জানায়, তালিবানকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। দেশবাসীর ক্ষতি করতে আসেনি তারা। এখানেই থেমে থাকেনি তালিবান মুখপাত্র। সে জানায়, এবার থেকে আফগানিস্তানে একলা রাস্তায় বেরোতে পারবেন মহিলারা। নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে না। এমনকী বোরকা পরে কাজে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একলা যেতে পারবেন মহিলারা। যদিও তালিবানের এই বক্তব্য এখনই বিশ্বাস হচ্ছে না আফগানিস্তানবাসীর। সেই কারণে প্রায় ১০ হাজারের বেশি আফগানি বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন।অতীতের তালিবান শাসনের কথা ভুলতে পারেননি তাঁরা।


এদিকে, মুখে বাক স্বাধীনতার কথা বললেও কাজে দেখা যাচ্ছে না তার প্রতিফলন। বুধবার আফগানিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রতিবাদ দমাতে শূ্ন্যে গুলি চালাল জঙ্গিরা। লাঠিপেটা করা হয়েছে প্রতিবাদকারীদের। বুধবার দেশের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। নামিয়ে দেওয়া হয় তালিবানের পতাকা। এরপরই বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায় তালিবান জঙ্গিরা।