তড়িঘড়ি সরকারি মুখপাত্র সাফাই দিতে আসরে নেমে জানান, প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে প্রশ্নটা ঠিকঠাক শুনতেই পাননি। বিদেশ দপ্তর ভারতের কৃষক আন্দোলনের ওপর নজর রাখছে বলেও জানান মুখপাত্রটি।
ব্রিটিশ শিখ লেবার এমপি প্রীত কৌর গিল বলেন, এই সরকারের অযোগ্যতা ফের প্রকট। বিদেশসচিব ডমিনিক রাব গোটা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিবাদগুলির একটি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফই করেননি! আরেক লেবার সাংসদ তথা প্রাক্তন শ্যাডো বিদেশসচিব এমিলি থর্নবেরি বলেন, মনে হয় আমাদের প্রধানমন্ত্রী পঞ্জাব আর কাশ্মীরের পার্থক্যই জানেন না! আমাদের তো হতবাক হওয়ারই কথা। যদিও বিদেশ, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস ভারতের কৃষক আন্দোলনে ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিকদের দাবির ব্য়াপারে নাক গলাতে চায়নি। তাদের বক্তব্য, পুলিশ নামিয়ে কৃষক প্রতিবাদ মোকাবিলা করাটা ভারত সরকারের ব্য়াপার।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের তিনটি কৃষি বিলের প্রতিবাদে কয়েক হাজার কৃষক হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে দিল্লির সীমান্ত অবরোধ করে বসে আছেন। নতুন আইনে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য(এমএসপি) ব্যবস্থা উঠে যাবে, বড় কর্পোরেটদের দয়ায় থাকতে হবে বলে আশঙ্কা তাঁদের। যদিও আশঙ্কা উড়িয়ে সরকারের দাবি, নতুন আইনে কৃষকদের সামনে আরও ভাল সুযোগ, সম্ভাবনা তৈরি হবে, নতুন নতুন প্রযুক্তি আসবে।