মণীশ খুনে অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী নাসির, দাবি পুলিশের।বিহার থেকে সুপারি কিলার যোগাড় করে নাসিরই, দাবি পুলিশের।মণীশ খুনে সব মিলিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি।
গত ৪ অক্টোবর ভিড়ে ঠাসা বিটি রোডের উপর গুলি করে খুন করা হল ব্যারাকপুরের বিজেপির ‘বাহুবলী’ নেতা মণীশ শুক্লকে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ যখন তিনি টিটাগড় থানার কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন ঘটনাটি ঘটে। মোটর সাইকেলে চেপে আসা দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে পর পর গুলি করে মণীশকে লক্ষ্য করে। গুলিবিদ্ধ মণীশকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল ও বিজেপির বাকযুদ্ধ চরমে ওঠে। বিজেপি নেতারা তৃণমূল ও পুলিশের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। পাল্টা তৃণমূল বিজেপিকে নিশানা করে।
এরপর মহম্মদ খুররম খান এবং গুলাব আলি শেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি।বাবার খুনের বদলা নিতে খুররম মণীশকে খুন করে বলে দাবি করেন গোয়েন্দারা। শার্প শুটারদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে সুবোধ যাদবকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয় সিআইডি-কে।
এর আগে সিআইডি-র জালে আরও দুই ভাড়াটে খুনি ধরা পড়ে। বিহারের বাসিন্দা ওই দু’জনকে পঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছিল। ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মণীশকে খুন করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও কোনও মহলের দাবি, মণীশকে খুনের পিছনে খুররমের ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। বিজেপির অবশ্য দাবি, রাজনৈতিক কারণেই মণীশকে খুন করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রে বড় কোনও রাজনৈতিক নেতা জড়িত রয়েছেন বলেও তাদের অভিযোগ।
৮ অক্টোবর ব্যারাকপুরের ঘাটালের বাসিন্দা সুবোধ যাদব ওরফে সুবোধ রায়কে গ্রেফতার করে সিআইডি। খুনে অভিযুক্ত শার্প শ্যুটারদের সুবোধ আশ্রয় দিয়েছিল বলে দাবি করেন গোয়েন্দারা। অক্টোবরের শেষের দিকে পঞ্জাব থেকে তিন শার্পশ্যুটারকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃত তিনজনই বিহারের বাসিন্দা। এই নিয়ে ব্যারাকপুরে বিজেপির স্ট্রং ম্যান মণীশ খুনে ১০ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি।