রাজস্থানের ৩৩টি জেলার মধ্যে ১৬টিতে হামলা করেছে পঙ্গপালের ঝাঁক। মধ্য প্রদেশ জানিয়েছে, তাদের নিমার-মালওয়া এলাকায় এমন পঙ্গপালের দেখা গত ২৭ বছরে মেলেনি। প্রশাসন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এবার পঞ্জাব আর গুজরাতের পালা। শোনা যাচ্ছে, রাজস্থান-হরিয়ানা সীমানা ধরে পঙ্গপালের ঝাঁক এবার দিল্লি ঢুকে পড়তে পারে। এই পঙ্গপাল হামলা এর আগে হয়েছে গত বছর ডিসেম্বর থেকে এ বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যে। তারপর এটি তাদের দ্বিতীয় আক্রমণ। কৃষকরা পুরোপুরি সামলাতে না পারলেও কীটনাশক স্প্রে করে পঙ্গপাল সামলাতে মোটামুটিভাবে সফল হয়েছেন এখনও পর্যন্ত।
ফড়িংয়ের ১২টি প্রজাতির অন্যতম হল এই মরুভূমির পঙ্গপাল। এরা দিনে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। প্রতিদিন একটি পঙ্গপাল নিজের ওজনের মত খেতে পারে অর্থাৎ ২ গ্রাম করে টাটকা শাকসবজি। তার মানে শুধু যে এরা শস্য ধ্বংস করে তা নয়, এই শস্য সরবরাহের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদেরও উপার্জনের পথ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে। ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, পঙ্গপালের হামলা খাদ্য সুরক্ষার ওপর বিরাট আক্রমণ।
শস্যের ক্ষেতে পঙ্গপালের হামলা এ দেশে নতুন কিছু নয়। কিন্তু ঘটনা হল, এতদিন এরা নভেম্বরের মধ্যে ভারত ছেড়ে চলে যেত। কিন্তু এবারই এরা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত থেকে গিয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের ধারণা, এর কারণ প্রকৃতির পরিবর্তন। গত বছর পশ্চিম ভারতে বর্ষা শুরু হয় স্বাভাবিক সময়ের ৬ সপ্তাহ আগে অর্থাৎ জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। স্বাভাবিক সেপ্টেম্বর, অক্টোবরের বদলে বর্ষা থেকেছিল নভেম্বর পর্যন্ত। বেশি বৃষ্টিতে শস্য বেশি হয়, ফলে পঙ্গপালের নজরে পড়ে। আর এ মাসে যে পঙ্গপালরা ফের হানা দিয়েছে তার কারণ ভারত মহাসাগরে একের পর এক ঝড়, যা আরবীয় উপদ্বীপের বালু এলাকায় আঘাত করেছে, ফলে পঙ্গপাল জন্মেছেও বেশি।