নয়াদিল্লি: সারা দেশে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে। রবিবার বিকেল পর্যন্ত পাওয়া হিসাবে ২৬৫০০ হয়েছে দেশব্যাপী করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। তবে তার মধ্যেই আশার খবর, গোয়ার পর দেশের আরও তিন রাজ্য করোনাভাইরাসের কবলমুক্ত হয়েছে। গোয়ার পাশাপাশি ত্রিপুরা, মণিপুর থেকে নতুন সংক্রমণের খবর আসেনি। অরুণাচল প্রদেশের একমাত্র সংক্রমিত রোগীও সুস্থ হয়ে উঠছেন।
গোয়ায় সাতজনের করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে তাদের সবাই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। অরুণাচলের ৩১ বছর বয়সি একমাত্র করোনা আক্রান্তও শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
মণিপুরের দ্বিতীয় তথা শেষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী ২১ এপ্রিল ছাড়া পাওয়ায় গোয়ার পর মণিপুর দ্বিতীয় কোভিড-১৯ মুক্ত রাজ্য় হয়েছে। গত মাসে ব্রিটেন থেকে ইম্ফলে ফেরা ২৩ বছর বয়সি মহিলা রাজ্যের প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। ঘটনাচক্রে উত্তরপূর্ব ভারতে প্রথম এই রোগের কবল থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষ তিনিই।
শনিবার হাসপাতাল থেকে ত্রিপুরার দ্বিতীয় তথা শেষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হয়ে ছাড়া পাওয়ার কথা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ত্রিপুরার প্রথম করোনাভাইরাস হওয়া রোগী, এক মহিলা, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান গত ১৫ এপ্রিল।
উত্তরপূর্বের আরেক রাজ্য সিকিমেও একটিও করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর নেই এখনও পর্যন্ত। দেশের অন্যত্র আটকে পড়া পড়ুয়া, রোগী সহ সবাইকে লকডাউন উঠে গেলেই রাজ্যে ফেরানা হবে বলে জানিয়েছেন সিকিম সরকারের অফিসাররা। সিকিমের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ডিরেক্টর জেনারেল তথা সচিব পি টি ভুটিয়া মুখ্য়সচিবকে জানিয়েছেন, বাইরে থেকে ফেরা রাজ্যের লোকজনের স্ক্রিনিং, পরীক্ষা করানোর স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) তৈরি করা হয়েছে। বাইরে থেকে ফেরানো লোকজনকে কোয়ারেন্টিন করার পরিকাঠামোও তৈরি।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিত্র সবচেয়ে খারাপ মহারাষ্ট্রে। সেখানে মোট সংক্রমণ সংখ্যা বেড়ে ৭৬২৮ হয়েছে, মৃত্যু ৩২৩।
সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস সংক্রমিত রাজ্যগুলির মধ্যে আছে দিল্লি (২৬২৫), তামিলনাড়ু (১৮২১), রাজস্থান (২০৮৩), মধ্যপ্রদেশ (২০৯৬), গুজরাত (৩০৭১), উত্তরপ্রদেশ (১৭৯৩), অন্ধ্রপ্রদেশ (১০৬১) ও তেলঙ্গানা (৯৯১)।