নয়াদিল্লি: ঝাড়খণ্ডে দুই জোট শরিক জেএমএম ও আরজেডিকে অভিনন্দন জানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় এই জয়ের বিরাট মূল্য রয়েছে। জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোটকে ক্ষমতায় আনার জন্য ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।


সনিয়ার বক্তব্য, এই রায়ের মাধ্যমে জনতা বিজেপির জাতপাত ও ধর্মের ভিত্তিতে সমাজকে বিভাজিত করার চেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন। একইভাবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মানুষকে, তাঁর দাবি, তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি অপ্রতিরোধ্য নয়। তাঁর কথায়, মনে রাখবেন, শেষ ৩ মাসে বিজেপির আসন হরিয়ানায় কমেছে, মহারাষ্ট্রে তারা ক্ষমতা রাখতে পারেনি, আর এবার ঝাড়খণ্ডে হেরেছে। যদি সব বিরোধী দল এক হয়, তবে বিজেপিকে হারানো যেতে পারে।

চিদম্বরমের দাবি, বহু ছাত্রছাত্রী, যুবকযুবতী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। দেশের সংবিধান এখন বিপন্ন, এ সময় এই ঐক্য জরুরি। বিরোধীদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছোট নয়, ভারত নামে যে ধারণা তার মূলেই খাড়া হয়েছে চ্যালেঞ্জ। গাঁধী, নেহরু ও অম্বেডকর যে সংবিধান দিয়ে গিয়েছেন, তার সামনে রয়েছে এই চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে হারাতে হলে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, এক সঙ্গে লড়তে হবে বিজেপি ও তার অ্যাজেন্ডার বিরুদ্ধে।

চিদম্বরমের দাবি, শ্রীলঙ্কার তামিল, মায়ানমারের রোহিঙ্গা ও পাকিস্তানের আহমেদিয়া সম্প্রদায় বিশ্বের সব থেকে নির্যাতিত সংখ্যালঘু। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, এদের ওপর অত্যাচারের কোনও প্রমাণ নেই, এতে তিনি বিস্মিত।

গতকাল বার হয়েছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের ফল। জেএমএম নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস-আরজেডি জোট ৮১ আসনের বিধানসভায় ৪৭টি আসন জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। বিজেপি পেয়েছে ২৫টি আসন।