হাতির নাম ছিল অদিতি। মানুষকে বিশ্বাস করে তাদের হাত থেকে একটা আনারস খেয়েছিল সে। মুখের মধ্যেই ঘটে বিস্ফোরণ। ক্ষতবিক্ষত চোয়াল আর গলা নিয়ে সে গিয়ে দাঁড়ায় জঙ্গলের মধ্যে একটা নদীতে। হয়তো চেষ্টা করেছিল, অনাগত সন্তানের যন্ত্রণা একটু কমাতে। সেভাবেই ঘটে মৃত্যু। ঈশ্বরের আপন দেশ বলে পরিচিত কেরলে বন্যপ্রাণীর ওপর নৃশংসতা অবশ্য এতেই থামেনি। এ মাসেই এক গর্ভবতী বুনো মহিষকে খণ্ড খণ্ড করে কাটা হয়েছে। এবার একই ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ির গরুমারা অভয়ারণ্যে। তাও একেবারে কোর এলাকায়, যেখানে পাহারার চূড়ান্ত কড়াকড়ি থাকার কথা। সেখানেই বুধবার খুন হয়ে গেল পূর্ণবয়স্ক এক বাইসন।
কীভাবে ওই বাইসনকে মারা হয়েছে এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পর তা জানা যাবে। তবে জানা গিয়েছে, বাইসনটি কেটে তার মাংস রান্না করা হয়, তারপর হাড়িয়া দিয়ে বনভোজন চলে। গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে বন দফতর তাদের কুকুর অরল্যান্ডোকে নিয়ে তল্লাশি চালায়। সে গিয়ে হাজির হয় স্থানীয় বড়দিঘি চা বাগানের এক বাসিন্দার বাড়ি। তার বাড়ি থেকে বাইসনের রান্না করা মাংস পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, জানা গিয়েছে, আরও ৮ জন এই ঘটনায় যুক্ত।
অভিযুক্তকে জেরা করে ৮ জনের নাম জানতে পেরেছে বন দফতর, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এরা সবাই আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত, স্থানীয় বাসিন্দা। অভিযোগ, সকলেই চোরাশিকারী। কোর এরিয়ার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কীভাবে তারা বাইসন খুন করল এখনও পরিষ্কার নয়। ধৃতকে আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে।