নয়াদিল্লি: মধ্যপ্রদেশের পর কি এবার কি রাজস্থান? মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পাশাপাশি ২০ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে বিপদে ফেলে দিয়েছেন কমলনাথকে। শক্তির মাপকাঠিতে সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে তাঁর কংগ্রেস সরকার। ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের গতকাল থেকেই হদিশ ছিল না। পরে শোনা যায়, তাঁদের মোবাইল সুইচড অফ, তাঁরা রয়েছেন বেঙ্গালুরুর হোটেলে।
মধ্যপ্রদেশের শীর্ষ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহের অভিযোগ, বিজেপিই কলকাঠি নাড়ছে। ওই বিধায়কদের বেঙ্গালুরু পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে তারাই। এবার হিন্দি বলয়ের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের পর পশ্চিম ভারতে রাজস্থানের দিকেও বিজেপি হাত বাড়াতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তাঁদের বক্তব্য, রাজস্থানেও কংগ্রেস সরকার সরু সুতোর ওপর ঝুলছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত ও উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পায়লটের মধ্যে সুসম্পর্ক নেই। তাঁদের বিরোধকে উসকে দিয়ে সেখানেও গেহলত সরকারকে বিপাকে খেলে সরকার বদলের চেষ্টা হতে পারে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
সূত্রের খবর, সেখানকার সর্বশেষ ঘটনা হল, গেহলত রাজীব অরোরা নামে এক হিরে ব্যবসায়ীকে রাজ্যসভায় পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে তীব্র আপত্তি তুলেছেন পায়লট। জনৈক কংগ্রেস নেতা বলেছেন, একজন ব্য়বসায়ীকে দল রাজ্যসভায় পাঠালে ভুল বার্তা যেতে পারে বলে মনে করছেন পায়লট, তিনি দলের নেতাদের ঊর্ধ্বকক্ষে পাঠানোর পক্ষপাতী। এছাড়া, কোটার সরকারি হাসপাতালে একাধিক শিশুর মৃত্যুসহ একাধিক ইস্যুতে পায়লট গেহলত সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। দুজনের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।
২০০ সদস্যের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেস সরকার টিঁকে রয়েছে বিদ্রোহী বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) বিধায়কদের সমর্থনে। এঁরা কংগ্রেসে যোগদান করেছেন, যা বৈধ বলে জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। কংগ্রেসের পক্ষে আছে ১১২ জন বিধায়কের সমর্থন। এঁদের মধ্যে সিপিএমের ৩, আরএলডি-র ১ বিধায়ক আছেন। বিজেপির বিধায়ক ৮০জন। ফলে মধ্যপ্রদেশের মতো রাজস্থানেও ২০ জন বিধায়ক শিবির বদল করলে বিজেপির সুবিধা হয়ে যাবে, বিপাকে পড়বেন গেহলত।
সূত্রের খবর, রাজস্থানেও কিছু একটা হয়ে যেতে পারে, আগাম আশঙ্কায় গেহলতকে দ্রুত ডেকে পাঠিয়েছেন সনিয়া গাঁধী। দিল্লি ছুটে গিয়েছেন গেহলতও।