কলকাতা: এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে সড়কপথে গেলে। কিংবা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় সড়কপথে গেলে পথের মাঝে আমাদের চোখে পড়ে টোল বুথ। যেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমাদের টোল ট্যাক্স দিতে হয়। এখন ফাস্টট্যাগ চালু হয়ে গিয়েছে। গাড়িতে লাগানো ফাস্টট্যাগ স্টিকার স্ক্যান করেই সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে টোলের টাকা কেটে নেওয়া হয়। এখনও এমন অনেক গেট রয়েছে সেখানে ফাস্টট্যাগ নয়, এমনিই নগদ টাকার মাধ্য়মে টোল দেওয়া হয়। আগে এমনই দেওয়া হতো টোলের ক্ষেত্রে। টোল দেওয়ার পরে একটি রসিদও দেওয়া হতো। সেই রসিদ অনেকে রেখে দিতেন। কিন্তু কেন? (Toll Helpline)
ওই টোলের (Toll plaza) রসিদের পিছনে বেশ কিছু ফোন নম্বর লেখা থাকে। সেগুলি হেল্পলাইন নম্বর বলে দাবি করা হয়। কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল বিষয়টি। ওই পোস্টগুলিতে বলা হয়েছিল টোলের রসিদের পিছনে হেল্পলাইন, ক্রেন পরিষেবা, পেট্রোল পরিষেবা এবং অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার নম্বর দেওয়া হয়েছে। হাইওয়েতে গাড়ি নিয়ে সমস্যায় পড়লে ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে হাজির হবে অ্যাম্বুল্যান্স, গাড়ির তেল ফুরিয়ে গেলে টোল রসিদে দেওয়া নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন করলেই গাড়ির সামনে হাজির হবে তেল। যদিও এগুলি ঠিক নয়, এমন কোনও সাহায্য মিলবে না। তবে ওই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে সাহায্য মিলবেই। ন্য়াশনাল হাইওয়ে অথরিটির হেল্পলাইন (National Highনম্বর সত্যিই রয়েছে সেটি হল ১০৩৩
এমারজেন্সি, নন এমারজেন্সি বিষয়ে এই হেল্পলাইনে ফোন করা যাবে। এছাড়াও টোল প্লাজা অ্যাম্বুল্যান্স, পুলিশের নাকা তল্লাশির গাড়ির জন্য় এখানে ফোন করা যাবে। ফাস্টট্যাগ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য়ও এই নম্বরে ফোন করলে সাহায্য মিলবে।
এছাড়াও এখন রয়েছে SOS বক্স:
জাতীয় সড়কে চলাফেরার সময় নানা বিপদ-আপদ হতেই পারে। সেই সময়ে যাতে যাত্রীরা প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে পারেন তার জন্য SOS বক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতীয় সড়কের পাশে কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে SOS বক্স। বেঙ্গালুরু-মাইসুরু এক্সপ্রেসওয়ের পাশে বসানো হয়েছে এমন বক্স। এছাড়াও অন্য কিছু জাতীয় সড়কেও এমন বক্স বসানোর কাজ চলছে। সৌরশক্তিতে চলা এই যন্ত্র ভয়েস কমিউনিকেশন মডেল হিসেবে কাজ করবে। এতে একটি GPS ইউনিট রয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই বক্সে থাকা একটি বোতাম টিপতে হবে। তাহলেই ওই ব্য়ক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কলসেন্টারে যোগাযোগ তৈরি হবে। কন্ট্রোল রুম, অ্যাম্বুল্যান্স এবং পুলিশকেও সতর্ক করবে। প্রতিটি ডিভাইসে একটি ইউনিক নম্বর রয়েছে, ফলে কোন জায়গা থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে সেটি সহজেই বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: IPO আনল যাত্রা অনলাইন! কত দাম? ইতিমধ্যেই বিনিয়োগ কাদের?