ফরিদাবাদ : রাজধানী দিল্লিতে বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে আরও।  এই ঘটনার দিনই সকালে ফরিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। মঙ্গলবারই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ৫০-৬০ কেজি বিস্ফোরক । 

Continues below advertisement

ফরিদাবাদে কাশ্মীরি ডাক্তার মুজাম্মিল শাকিলের দুটি ভাড়া করা ঘর থেকে পুলিশ মোট ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক এবং দাহ্য পদার্থ উদ্ধার করে সোমবার । তার একদিন পরই এই গ্রেফতারি ও আবার বিস্ফোরক উদ্ধার।   গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশে বিস্তৃত রয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের নেটওয়ার্ক। ডাক্তারদের সামনে রেখে সন্ত্রাসবাদের "হোয়াইট-কলার মডিউল" চালাচ্ছে এই জঙ্গি সংগঠনগুলো। মডিউলের অংশ থাকার অভিযোগে মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে এই শাকিল এবং আরেক কাশ্মীরি ডাক্তার আদিল আহমেদ রাথেরও ছিল। পরে আরেক মহিলা ডাক্তারকেও আতস কাচের নিচে আনে গোয়েন্দারা।  

সোমবার সন্ধেয় লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের বাইরে, এই গাড়িতেই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী। সেই বিস্ফোরণের জেরেই আগুন ধরে যায় একের পর এক গাড়িতে। যে গাড়িতে করে বিস্ফোরক নিয়ে আসা হচ্ছিল, সেটির চালক উমর উল নবীর ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু, হরিয়ানার নম্বর প্লেট দেওয়া এই গাড়িটি সোমবার দিনভর কোথায় ছিল? বিস্ফোরণের আগে ১১ ঘণ্টা ধরে কোথায় কোথায় ঘুরেছিল গাড়িটা? সেই সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। পুলিশ সূত্রে দাবি, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় হরিয়ানার ফরিদাবাদে ছিল গাড়িটি। CCTV ফুটেজে ধরা পড়েছে, ওই সময়ে ফরিদাবাদের এশিয়ান হাসপাতাল থেকে বেরোতে দেখা যায় উমরের i20 গাড়িটিকে। তারপর সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে দেখা যায়, গাড়িটি বদরপুর টোল প্লাজা থেকে দিল্লিতে ঢুকছে। কিছুক্ষণ পর ৮টা ২০ মিনিটে ওখলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ার কাছে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে গাড়িটিকে দেখা যায়। এরপর বেশ কিছক্ষণ গাড়িটি কোথায় ছিল, তার হদিশ পাওয়া যায়নি। দুপুর ৩টে ১৯ মিনিটে, লালকেল্লার কাছাকাছি পার্কিং লটে দেখা যায় গাড়িটিকে। সন্ধে ৬টা ২২ মিনিটে দেখা যায়, সেটি পার্কিং লট থেকে বেরিয়ে লাল কেল্লার দিকে রওনা দিচ্ছে। আর তারপরই ৬টা ৫২ মিনিটে, সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে গাড়িতে।

Continues below advertisement