চন্দ্রকোণা ও শান্তিপুর : ভ্যাকসিন না পেয়ে ফের বিক্ষোভ। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ও নদিয়ার শান্তিপুরে ভ্যাকসিনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হল।


আজ পশ্চিম মেদিনীপুর চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পেয়ে বিক্ষোভ দেখান কিছু মানুষ। ওই হাসপাতালে ২০০ জনকে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ছিল। সকালেই দীর্ঘ লাইন পড়ে যায় হাসপাতালের সামনে। গ্রাহকদের অনেকেরই দাবি, ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য তাঁদের মোবাইল ফোনে মেসেজ এসেছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকাল ১০টা নাগাদ ঘোষণা করে, ৪০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এরপরই শুরু হয়ে যায় লাইনে হুড়োহুড়ি। কেন মাত্র ৪০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। 


পরে চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ভ্যাকসিনের ডোজ কম থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।


অন্যদিকে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও করোনার ভ্যাকসিন না পেয়ে নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য অনেকে রাত থেকে এসে লাইন দিয়েছিলেন। অথচ আজ সকালে জানানো হয়, ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। গ্রাহকদের দাবি, মোবাইল ফোনে মেসেজ পেয়েই তাঁরা ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলেন।


প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিনের তীব্র সঙ্কটের মাঝেই ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। এদিকে ভুয়ো ভ্য়াকসিন কাণ্ডের জেরে আজ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়া সব ভ্য়াকসিনেশন ক্যাম্প বাতিল রয়েছে। শুধু সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ও স্বাস্থ্য় কেন্দ্রে মিলছে টিকা। আজ কোনও বেসরকারি ভ্য়াকসিনেশন ক্যাম্প হবে না। আজ স্বাস্থ্য ভবনে বেসরকারি ভ্যাকসিনেশনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর গাইডলাইন প্রকাশ করবে রাজ্য।


উল্লেখ্য, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনই অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে দেশের প্রায় সর্বত্র। তবে, কিছু অংশের মানুষের এখনও ভ্যাকসিন নিয়ে ছুৎমার্গ রয়েছে। এপ্রসঙ্গে গতকালই "মন কি বাত"-এ প্রধানমন্ত্রী সতর্কবার্তা দিয়েছেন।