নয়াদিল্লি: উৎসবের মরসুমে ভোজ্য তেলের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পাম, সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের শুল্ক আরও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যদিও এর ফলে সরকারের প্রায় ১১০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলে জানান হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে পুজোর আগে স্বস্তির নিঃশ্বাস মধ্যবিত্তের। অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি শুল্ক আগে ছিল ১০ শতাংশ। তা কমিয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। একই ভাবে অপরিশোধিত সয়া এবং সূর্যমুখী তেলের আমদানি শুল্কও ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই দুই ভোজ্য তেলে আগে আমদানি শুল্ক ছিল ৭.৫ শতাংশ করে। তিনটি ভোজ্য তেলেই আগে ৩৭.৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হতো। শনিবার থেকেই কার্যকর নয়া হার।
ভারতে পাম তেল এবং সয়াবিন তেলের বেশির ভাগটাই অন্য দেশ থেকে আমদানি করা হয়। কিন্তু এই তেলের যোগান কম থাকায় এবং বিদেশের বাজারে দাম বৃদ্ধির জেরে প্রভাব পড়েছিল দেশীয় বাজারে। ফলে লাফিয়ে বাড়ছিল তেলের দাম। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশ। এই পরিস্থিতে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে আমদানি শুল্ক কমানোর পথে হাঁটল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন, শিলিগুড়ি থেকেই দেখা মিলল কাঞ্চনজঙ্ঘার! চোখের সামনে গিরিশৃঙ্গ দেখে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতি কেজি সরষের তেলের দাম ছিল ১২০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৭৫ টাকা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে পাম তেলের দাম বেড়েছে ৬৪ শতাংশ। এক বছর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ছিল ৮৫ টাকা, এখন তা ১৩৯ টাকা প্রতি কেজি। একই ভাবে সয়াবিন তেলের দাম এক বছরে বেড়েছে ৫১.২১ শতাংশ। গত বছর যেখানে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১০২.৫০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৫৫ টাকা প্রতি কেজি। সানফ্লাওয়ার তেলের দাম বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। ১২০ টাকা প্রতি কেজি থেকে বেড়ে তা এখন ১৭৫ টাকা।
আমদানি শুল্কে কাটছাঁটের ফলে খুচরো বাজারে লিটারপিছু ভোজ্য তেলের দাম চার থেকে পাঁচ টাকা কমতে পারে। কমেছে ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্ক। দেশীয় সরবরাহ বাড়ানো এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশে এই রান্নার তেলের উপর শুল্ক কমানোর ফলে আনুমানিক ১১০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে যার মধ্যে এই তেলের উপর কাস্টম ডিউটি কমানোর ফলে অতিরিক্ত প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে বলে জানান হয়েছে।