Ahmedabad Plane Crash: সাভজি ভাই তিম্বাডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে থাকার কথা ছিল তাঁরও। তবে ফ্লাইট ধরেননি তিনি। টিকিট পরিবর্তন করে আগামী সোমবারের টিকিট কেটেছিলেন। তখন অবশ্য জানতেন না এই সিদ্ধান্তই এ যাত্রায় প্রাণ বাঁচিয়ে দেবে তাঁর। ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছেন এই ব্যক্তি। 'রাখে হরি মারে কে', এই প্রবাদ নিঃসন্দেহে সাভজি ভাই তিম্বাডিয়ার জীবনে ভীষণ ভাবে প্রযোজ্য।
এবিপি নিউজের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছে সাভজি ভাইয়ের। তিনি জানিয়েছেন, লন্ডনে ছেলের কাছে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার আমদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার যে ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ বিমান ভেঙে পড়েছে, সেখানেই টিকিট ছিল তাঁর। তবে যাওয়ার ব্যাপারে মত পরিবর্তন করেন তিনি। ঠিক করেন আজ নয়, যাবেন আগামী সোমবার। সেই মতোই ছেলেকে বলে পরিবর্তন করেন টিকিট। আর এই সিদ্ধান্তের জেরেই এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন সাভজি ভাই তিম্বাডিয়া। বারংবার তিনি বলেছেন এ যাত্রায় ঈশ্বরই তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।
বিস্তারিত আসছে
অন্যদিকে আমদাবাদের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এক যাত্রী বেঁচে গিয়েছেন বলে খবর সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে। ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বাস কুমার রমেশ। প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিও। সেখানে হাঁটতেও দেখা গিয়েছে এই যুবককে। সামান্য পা খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অনুমান, পায়ে চোট পেয়েছেন তিনি। কিন্তু এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আপাতত তিনিই একমাত্র জীবিত যাত্রী। বরাত জোরে এ যাত্রায় বেঁচে গিয়েছেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। এমনকি তাঁর মোবাইল ফোনও অক্ষত রয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। তবে বিমানে রমেশের সঙ্গেই ছিলেন তাঁর দাদা। তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আপাতত বিশ্বাস কুমার রমেশ ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ১১এ সিটের যাত্রী ছিলেন তিনি। টেক অফের পরেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭। সিভিল হাসপাতালের হস্টেলের ওপর ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী বিমান। এই বিমান দুর্ঘটনায় গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।