নয়াদিল্লি: 'আমদাবাদে ভেঙে পড়া বিমানের কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না। উড়ানের আগে বিমানে কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি', আমদাবাদ বিমান বিপর্যয় নিয়ে দাবি জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার CEO ও MD.
আমদাবাদ বিপর্যয় নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার CEO ও MD ক্যাম্পবেল উইলসনের দাবি, 'বোয়িং ড্রিমলাইনারের রক্ষণাবেক্ষণে কোনও সমস্যা ছিল না। নিয়মিত বিমান ও ইঞ্জিনের পরীক্ষা করা হত। টেক অফের আগে বিমানের কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। ২০২৩-এ AI-171 বিমানের সবকিছু পরীক্ষা করা হয়েছিল। ২০২৩-এ বিমানের ডান দিকের ইঞ্জিন পরীক্ষা হয়েছিল। চলতি বছরের এপ্রিলে ড্রিমলাইনারের বাঁ দিকের ইঞ্জিনও পরীক্ষা করে দেখা হয়।চলতি বছরের ডিসেম্বরে আবার পরীক্ষা করার কথা ছিল',দাবি এয়ার ইন্ডিয়ার CEO-র।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক রুটে কি একটি বিমানকেই বার বার ওড়ানো হচ্ছে? কম টাকায় টিকিট দেওয়ার জন্য কি অদেখা থেকে যাচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটি? খামতি থেকে যাচ্ছে মেনটেন্যান্সে? প্রশ্ন তুলেছেন ড্রিমলাইনারে সফর করা যাত্রীরাই। আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনাক কারণ নিয়ে যখন তচলছে কাটাছেঁড়া, তখন ভাইরাল হয়েছে তেমনই কিছু ভিডিও।বিমান তখন ৬২৫ ফুট উপরে।হঠাৎ, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ATC-র সঙ্গে। তারপরই দ্রুত গতিতে নীচের দিকে নামতে থাকে বিমান।কিছু বুঝে ওঠার আগে, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আগুনের গোলায় পরিণত হয় সেটি।
আমদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী বিমানটি আমেরিকার বোয়িং সংস্থার তৈরি ‘সেভেন এইট সেভেন ড্যাস এইট ড্রিমলাইনার’ সিরিজের। আর এই বিমানে বিপর্যয়ের দিনেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। যেখানে এক বিমানযাত্রী দাবি করছেন, ২ ঘণ্টা আগে তিনি ওই বিমানেই ছিলেন। এই বিমানেই দিল্লি থেকে আমদাবাদে আসেন তিনি। এক বিমানযাত্রী বলেন, আমরা যেন একটা ট্য়াক্সিতে রয়েছি। এসি কাজ করছে না। টিভি স্ক্রিন কাজ করছে না। কেবিন ক্রুকে ডাকার বাটনও কাজ করছে না। এমনকী লাইটটা পর্যন্ত কাজ করছে না। তাহলে আপনারা কী পরিষেবা দিচ্ছেন?
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে, এই বিমানযাত্রী দাবি করছেন, এই বিমানটিই দিল্লি থেকে আমদাবাদ আসার পর, ফের লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়। অতীতে এই সেভেন এইট সেভেন ড্য়াশ এইট ড্রিমলাইনার বিমানে চড়া যাত্রীদের অভিযোগ, তখনও অভাব ছিল রক্ষণাবক্ষণের। বিমানযাত্রী অনুরাগ হালদার বলেন, বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনার বলে যেটাকে, আমি সেই বিমানে করেই দিল্লি থেকে মেলবোর্ন এসেছিলাম। খুবই মেনটেনেন্সের অভাব ছিল এই এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের থেকে। এবং বারবার এই এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষের উপর বিভিন্ন রকম প্রশ্ন উঠেছে তাদের মেনটেনেন্স নিয়ে, তাদের নামে বিভিন্ন রকমের নোটিস ইস্যু করেছে DGCA.