নয়াদিল্লি: আমদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে সেফটি ইস্যু। তাই এবার আর কোনও ঝুঁকি না নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত। এয়ার ইন্ডিয়ার সকল বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানের সেফটি চেক হবে, নির্দেশ দিল DGCA.
কবে থেকে কী কী পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে ?
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশনের (DGCA) এর নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫ জুন রবিবার থেকে ভারতের মাটি ছেড়ে যাওয়ার আগে এয়ারইন্ডিয়াকে এই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। জ্বালানি প্যারামিটার পর্যবেক্ষণ, সংশ্লিষ্ট সিস্টেম পরিদর্শন, কেবিন এয়ার কম্প্রেসার-সহ আনুসাঙ্গিক সিস্টেম চেক করা হবে। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ইঞ্জিন কন্ট্রোল সিস্টেমও চেক করা হবে। দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে, চেক করাতে হবে অয়েল সিস্টেম, হাইড্রলিক সিস্টেমও।
৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার এরকম ডেডলি হয়ে উঠল কীকরে?
স্বপ্নের ড্রিমলাইনারই বৃহস্পতিবারের পর হয়ে উঠেছে দুঃস্বপ্নের আরেক নাম! আমদাবাদের ভয়াবহ বিপর্যয়ে নিমেষে শেষ হয়ে গেছে ২৬৫টা প্রাণ। উদ্ধারকারী দলের সদস্য বলেন, চিনতেই পারছিলাম না। যে এরা আমাদের সহকর্মীরা। চিনতেই পারছিলাম না। একটা টুকরো এদিকে। আরেকটা টুকরো ওদিকে। বোয়িং ড্রিমলাইনারকে সবাই বেছে নেন মূলত দু'টো কারণে। নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দ্য়। কিন্তু বোয়িংয়ের সেই অত্য়াধুনিক বিমান, ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার এরকম ডেডলি হয়ে উঠল কীকরে?
আমদাবাদে বিমান বিপর্যয় ঘটল কীকরে? এই উত্তর মিলতে পারে বিমানের 'ব্ল্য়াক বক্স' থেকে
বিশ্বের বড়বড় এয়ারলাইন্স যে ড্রিমলাইনার ব্য়বহার করে, যা এর আগে কোনওদিন ভেঙে পড়েনি তাই এভাবে ধ্বংস হয়ে গেল কী করে? এই প্রশ্ন জোরাল হচ্ছে। আমদাবাদে বিমান বিপর্যয় ঘটল কীকরে? এই উত্তর মিলতে পারে বিমানের 'ব্ল্য়াক বক্স' থেকে। যে কারণেই বিমান বিপর্যয় ঘটে থাকুক সেটা যান্ত্রিক ত্রুটি হোক বা নাশকতা, সূত্র একমাত্র মিলতে পারে ব্ল্য়াক বক্স থেকেই। DGCA, ব্য়ুরো অফ সিভিল অ্য়াভিয়েশন, এয়ার ইন্ডিয়া ও বিমান নির্মাণকারী সংস্থা 'বোয়িং' এই বিমান বিপর্যয়ের তদন্ত করবে।
বিমানের একটি Black Box উদ্ধার সম্ভব হয়েছে
কিন্তু, এই বিপর্যয় ঘটল কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উত্তর মিলতে পারে বিমানের 'ব্ল্য়াক বক্স' থেকে। ইতিমধ্য়ে তদন্তকারীদের একাধিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে। আমেদাবাদে ওই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের একটি Black Box উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। আরেকটির খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে।