লখনউ: রাম মন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের পর থেকেই অযোধ্যায় (Ayodhya) ঢল নামবে পুণ্যার্থীদের। এমনটাই মনে করছে প্রশাসন। বারাণসী যাওয়া বা বারাণসীমুখী পর্যটকদের একটি বড় অংশ পৌঁছবে অযোধ্যাতেও। পুণ্যার্থীদের এত বড় ঢল সামাল দিতে এবার এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর ভরসা করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। 


এক বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত AI নজরদারি ব্যবস্থার জন্য একটি পাইলট প্রোজেক্ট শুরু হতে চলেছে। যদি মনে হয় এটা কাজে লাগছে, তাহলে অযোধ্যার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নজরদারিতে অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে পারে এটি।  


কীভাবে কাজ করবে এই AI?
পুলিশের একটি অংশ জানাচ্ছে, AI নজরদারি বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। যেমন যদি কোনও ব্যক্তি ঘনঘন অযোধ্যা রাম মন্দিরে আসেন, তা শনাক্ত করতে পারবে। কোনও গ্রুপ বা পর্যটকের দলের যাতায়াত ও ব্যবহারে কোনওরকম common trend থাকলে তা পুলিশের নজরে পড়বে সহজেই। এভাবেই মন্দির চত্বরে কোনওরকম সন্দেহজনক গতিবিধি হলে তা সহজেই AI- নজরদারি ব্যবস্থার চোখে পড়বে। তাহলেই নিজে থেকেই একটি সিকিউরিটি অ্যালার্ট দেওয়া হবে। তা দেখে পদক্ষেপ নিতে পারবেন নিরাপত্তারক্ষীরা। 


Facial Recognition- এআই নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভিড়ের মধ্যে থেকে কাউকে নিমেষে চিনে নিতে পারে এই ব্য়বস্থা। বিপুল তথ্যভাণ্ডার ঘেঁটে কোনও পুরনো অপরাধী বা সন্দেহজনক ব্যক্তির তথ্য থাকলে ভিড়ের মধ্যে থেকে চিনে নিতে পারে এই ব্যবস্থা। অন্যরকম কোনওকিছু নজরে পড়লেই দ্রুত অ্যালার্ট করতে পারে এই ব্যবস্থা। 


তবে এআই ছাড়াও, উত্তরপ্রদেশে পুলিশের পক্ষ থেকে মাঠে নেমে নজরদারি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির চত্বরে ঠিক কীভাবে নিরাপত্তা বন্দোবস্ত থাকবে তা এখনও স্থির হয়নি।  


এআই নজরদারি ছাড়াও, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনে ১১০০০ রাজ্য পুলিশ এবং বিপুল পরিমাণে আধা সেনা মোতায়েন থাকবে। পুলিশ সূত্রের খবর, ২৬ কোম্পানি আধাসেনা থাকবে। এছাড়াও ৮০০০ সিভিল পুলিশও থাকবে। পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশের এটিএস, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের মতো বাহিনীও নিরাপত্তায় থাকতে পারে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।                                        


আরও পড়ুন: তৃণমূলের কাছে ৫-৮টি আসন দাবি! বাম-পথও খোলা রাখতে চায় কংগ্রেস