বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: আগামী লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় জোটের প্রশ্নে বাম ও তৃণমূল দুই পক্ষের কাছেই রাস্তা খুলে রাখার ইঙ্গিত দিল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, জোট ও আসনরফা নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে কংগ্রেস সভাপতির কাছে।


সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে লোকসভা ভোটে বাংলায় ১২টি আসনে জিততে পারে কংগ্রেস। সেই মতো তৃণমূলের কাছ থেকে ৫-৮টি আসন রফার জন্য আলোচনা শুরু হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভাপতির কাছে দলের জোট সংক্রান্ত কমিটির তরফে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে তাতে এমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বাংলায় জোটের ক্ষেত্রে বাম ও তৃণমূলের দুই দলের কাছেই পথ খুলে রাখতে চায় কংগ্রেস। সূত্রের খবর, ২০ জানুয়ারির মধ্যে আসন রফা চূড়ান্ত করতে চায় কংগ্রেস।


তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া:
তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'রিপোর্ট কারা দিয়েছে, প্রশ্নটা সেখানেই। যদি অধীর চৌধুরীরা রিপোর্ট দিয়ে থাকেন তাহলে কীসের ভিত্তিতে রিপোর্ট হয়েছে? গত ২-৩টি নির্বাচনে কোন তথ্য ধরে বলা যেতে পারে ৫-৮টি আসন কংগ্রেস জিতবেন। অধীর চৌধুরীর আসনটাই ধরুন। ২০১৯ সালে জিতেছিলেন। ২০২১ এর নির্বাচনে তাঁর এলাকার ৭টি বিধানসভাতেই পরাজিত। একটাও জেতার জায়গায় আছে কংগ্রেস?'


সিপিএমের প্রতিক্রিয়া:
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'দিল্লিতে জাতীয় কংগ্রেসের নেতারা আলোচনা করছেন। তারা তাদের রাজ্য কমিটির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন সেখানে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই। ২০১১ সালে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃণমূল না। কংগ্রেসের শক্তি নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। তারপর যেভাবে তৃণমূল কার্যত কংগ্রেসকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে সেটা পুরনো কংগ্রেস সমর্থক মানুষ ভালভাবে নিচ্ছেন না।' তিনি আরও বলেন, 'তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস যাবে কিনা পরের কথা। সেটা কংগ্রেসের নেতারা বুঝবে। আমরা বলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে আমাদের কাজ তৃণমূলকে, বিজেপিকে সাহায্য় করা নয়। তৃণমূল ও বিজেপির বাইরে যে শক্তি রয়েছে তাদের সঙ্গে নিয়ে লড়ার কথা আমাদের। ' 


একদিকে এই রিপোর্ট যখন জমা পড়েছে, অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের হারানোর কিছু নেই। বহরমপুর, মালদায় কংগ্রেসকে হারাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।' বহরমপুরে খোদ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে লড়ার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর চ্যালেঞ্জ, 'আপনি নিজে লড়ুন বহরমপুরে, কত ক্ষমতা আছে দেখব। তৃণমূলকে হারিয়ে পরপর দুবার বহরমপুর, মালদায় জিতেছে কংগ্রেস।' ফলে একদিকে এমন তোপ, অন্যদিকে জোট-আলোচনা। কোনদিকে গড়াবে জল? উত্তর দেবে সময়। 


আরও পড়ুন: SSKM-এ ভর্তি কারা? কেন ভর্তি? জানতে চাইল হাইকোর্ট