মুম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুতে সব থেকে বেশি প্রশ্ন উঠেছে তাঁর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়ে। দিল্লি এইমসের ৪ জন চিকিৎসক ওই ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পরীক্ষা করে দেখতে মুম্বই এসে পৌঁছেছেন। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন এইমস ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সুধীর গুপ্ত। আগামী ২ দিনে এই টিম তাদের রিপোর্ট জমা দেবে।

রিপোর্ট এলে স্পষ্ট হয়ে যাবে, সুশান্তের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট কতটা ঠিক ছিল।

সুধীর গুপ্ত ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন, কুপার হাসপাতাল যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে মৃত্যুর সময়ের উল্লেখ নেই কেন। মুম্বইয়ে সুশান্তের বাসভবন যেখানে তিনি মারা গিয়েছেন তাও ফরেনসিক টিম ঘুরে দেখবে।

সুশান্তের বাবা কে কে সিংহের আইনজীবী দাবি করেছেন, সুশান্তের গলায় যে দাগ ছিল, তা ফাঁসের দাগের থেকে অনেক বেশি গলা টেপার মত। তাঁর একটা চোখ অন্য চোখের থেকে বেশি খোলা ছিল। এই সব বিষয় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নেই। এ সব নিয়েও তদন্ত করতে পারে এইমসের ফরেনসিক টিম। মনে করা হচ্ছে, সুশান্তের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ভালভাবে বুঝতে পারলে বহু প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে। রিপোর্টে এমন অনেক কথার উল্লেখ নেই, যা থাকা উচিত ছিল।

সুশান্তের পোস্টমর্টেম হয় ১৪ জুন মাঝরাতে মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে। এখন জানা গিয়েছে, হাসপাতাল মুম্বই পুলিশকে একটি সাপ্লিমেন্টারি পোস্টমর্টেম রিপোর্টও দিয়েছিল, তাতে সুশান্তের মৃত্যুর সম্ভাব্য সময় জানানো হয়। বলা হয়, সুশান্তের মৃত্যু ময়নাতদন্তের ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা আগে হয়েছে।