নয়াদিল্লি: ষষ্ঠ বেতন কমিশন সহ ২৩ দফা দাবি পূরণের দাবিতে সোমবার থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন এইমসের পাঁচ হাজার নার্স। করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ধর্মঘট থেকে সরে আসার আহ্বান জানালেও সাড়া দেননি ধর্মঘটীরা। ফলে এইমসের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।


ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তাঁদের বেতন কাঠামো চালু করার দাবি জানিয়েছিলেন এইমসের নার্সরা। তাঁদের অভিযোগ, বছরখানেক আগে সেই প্রতিশ্রুতি দিলেও, আজও তা পূরণ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস-সহ বাকি দাবি মানা না হলে কাজে যোগ দেবেন না তাঁরা। পরিস্থিতি সামলাতে গতকাল সকালে এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া আশ্বাস দিয়ে বলেন, নার্সদের অধিকাংশ দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। এই অতিমারীর মধ্যে নার্স ও নার্সিং অফিসারদের ধর্মঘটে যোগ না দিতে আবেদন জানাচ্ছি।


এইমসের নার্সদের ধর্মঘট থেকে সরে আসার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। ধর্মঘট প্রত্যাহার করা না হলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, নতুন দাবিগুলি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে মন্ত্রক প্রস্তুত। করোনা পরিস্থিতির মতো কঠিন সময়ে নার্সদের ধর্মঘট থেকে সরে আসতে আবেদন করা হচ্ছে।


কিন্তু ধর্মঘটে যাওয়া নার্সদের বক্তব্য, এইমস কর্তৃপক্ষ তাঁদের চাকরির ক্ষেত্রে যে চুক্তি চালু করেছে তা কর্মী স্বার্থ বিরোধী। সেজন্য ধর্মঘটের পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। বাইরে থেকে চুক্তিভিত্তিক পদ্ধতিতে নার্স নিয়োগ করা হচ্ছে। ফলে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথাই ভাবছে নার্সদের কর্মী সংগঠন।


অতিমারীতে দিল্লির অবস্থা এমনিতেই শোচনীয়। তার উপর এইমসের মতো হাসপাতালে নার্সদের ওই বিক্ষোভে স্বাস্থ্য পরিষেবা কার্যত লাটে উঠেছে। গতকাল পরিস্থিতি সামাল দিতে বাড়তি চাপ নিয়ে কাজ করতে হয় চিকিৎসকদের। এমনকি বিভিন্ন ওয়ার্ডে অসুস্থদের দেখভাল করতে রোগীর আত্মীয়দের এগিয়ে আসতে হয় বলে খবর।