কলকাতা: ছেলেপুলের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়ার কী যে যন্ত্রণা! বিশেষ করে করোনার জেরে বহু বাবা মা এখন ঘরবন্দি, তাঁদের মোবাইল ফোন দখল করে নিয়েছে ছেলেমেয়ের দল। আমেরিকায় তো কেলেঙ্কারি ঘটেছে। ৬ বছরের জর্জ জনসন মা জেসিকার ১১ লাখ টাকা উড়িয়ে গেম সংক্রান্ত নানা ধরনের অ্যাড অন বুস্টার কিনে ফেলেছে।

জেসিকা জনসন লকডাউনের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন। আর এই সুযোগে তাঁর আইপ্যাড নিয়ে গেম খেলায় ব্যস্ত ছিল তাঁর ছোট ছেলে জন। সোনিক ফোর্সেস খেলতে খেলতে সে অ্যাড অন বুস্টার কিনতে থাকে, ভার্চুয়াল সোনার কয়েনের বাক্স, রেড রিং আর গোল্ড রিংয়ের পিছনে গলে যেতে থাকে মায়ের কষ্টার্জিত টাকা। প্রত্যেকটা রেড রিংয়ের দাম পড়ে ১.৯৯ ডলার আর গোল্ড রিংয়ের ৯৯.৯৯ ডলার! এরপর বিভিন্ন ক্যারেক্টার আর বোনাস আনলক করে ফেলে সে। এই করে মায়ের অ্যাকাউন্টের ১১ লাখের বেশি টাকা স্রেফ উড়িয়ে দেয়। ৯ জুলাই জেসিকা লক্ষ্য করেন, পেপ্যাল ও অ্যাপল তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ বার টাকা তুলেছে, সব মিলিয়ে তোলা হয়েছে ২,৫০০ ডলার।

জেসিকা প্রথমে ভেবেছিলেন, তিনি জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেন এ ব্যাপারে, এদিকে জুলাইয়ের শেষে তাঁর বিল ১৬,২৯৩ ডলার ছাড়িয়ে যায়। অক্টোবরে ধরা পড়ে, জালিয়াতি টালিয়াতি নয়, তাঁর মারফতেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। এ ব্যাপারে অ্যাপলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয় তাঁকে। অ্যাপলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাঁর সামনে গেম সংক্রান্ত জিনিসপত্র কেনার হিসেব তুলে ধরে। তক্ষুনি জেসিকা বুঝে যান, কার কীর্তি।

কিন্তু অ্যাপলকে রিফান্ডের কথা বললে তারা রাজি হয়নি, কারণ ঘটনার ৬০ দিনের মধ্যে রিফান্ডের আবেদন করেননি তিনি। উল্টে তারা বলে, এভাবে টাকা খরচ যাতে না করা যায় সে জন্য একটি সেটিং রয়েছে, সেটি তাঁর চালু রাখা উচিত ছিল।

রেগে আগুন জেসিকা সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, সেটিংয়ের কথা জানা থাকলে তিনি কি আর ছেলেকে এভাবে ভার্চুয়াল সোনার আংটির জন্য ২০,০০০ ডলার উড়িয়ে দিতে দিতেন? ছেলে বোঝেনি, টাকাটা সত্যি, সে অবাস্তব দুনিয়ায় একটা কার্টুন গেম খেলছিল। এভাবে ভার্চুয়াল গেমের জন্য আসল টাকা লুটে নেওয়া বিরাট জালিয়াতি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ সব থামাতে সরকারি পদক্ষেপ দরকার।