নয়া দিল্লি: দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা কী, সেটা জানার অধিকার সকলের রয়েছে, সম্প্রতি এমনই দাবি করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অবশ্য নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি দেখানো নিয়ে তথ্য কমিশনের নির্দেশ শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে গুজরাত হাইকোর্ট। সেই প্রেক্ষিতেই ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান অজিত পওয়ার বলেন, মন্ত্রীদের কার কী যোগ্যতা রয়েছে এমন প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। 


এনসিপি নেতার কথায়, একজন নেতা বা মন্ত্রী তাঁর সময়কালে কী কী কাজ করেছেন বা করছেন সেটাই মানুষের বিচার করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়টি নিয়েও সুর চড়ান তিনি। অজিত পওয়ার বলেন, '২০১৪ সালে তো মোদি দেশের জনগণের ভোটে জিতে এসেছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়ে নয়। এটা ওঁর ক্যারিশ্মা। ওঁর একটা ব্যক্তিত্ব রয়েছে, সেই সাহায্যেই বিপুল জয় পেয়েছে।' 


এখানেই থেমে থাকেননি অজিত। তিনি এও বলেন, '৯ বছর ধরে তিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করে চলেছেন। তাই তাঁর ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন করা ঠিক হবে না। বরং মূল্যস্ফীতি, বেকারত্বের মতো বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করুন। ডিগ্রি কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।' 


যদিও তিনি বলেছেন, 'তাঁর ডিগ্রির বিষয়ে স্পষ্টতা পেলে মূল্যস্ফীতি কি কমবে? তার ডিগ্রির অবস্থা জানার পর মানুষ কি চাকরি পাবে?' 


আরও পড়ুন, রিষড়া জ্বলছে, গোটা রাজ্য প্রশাসন দিঘার সমুদ্রসৈকতে ছুটি কাটাচ্ছে,' রিষড়াকাণ্ডে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর


উল্লেখ্য, তথ্য জানার অধিকার আইনে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিশদ তথ্য জানতে চান কেজরিওয়াল। তাতে তৎকালীন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার এম শ্রীধর আচারিউলু প্রধানমন্ত্রীর দফতর, গুজরাত ইউনিভার্সিটি এবং দিল্লি ইউনিভার্সিটিকে প্রধানমন্ত্রীর স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রির বিশদ জানাতে নির্দেশ দেয়। 


গুজরাত ইউনিভার্সিটির তরফে দ্রুত সেই সংক্রান্ত তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে তথ্য কমিশনের নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জও জানায় তারা। নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এর পর বিজেপি-র তরফেও প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বলে কিছু প্রতিলিপি তুলে ধরা হয়। বলা হয়, দিল্লি ইউনিভার্সিটি থেকে কলাবিভাগে স্নাতক হন প্রধানমন্ত্রী। তার পর গুজরাত ইউনিভার্সিটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রি অর্জন করেন। 


কিন্তু ওই নথির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেজরিওয়াল। তাতে স্পষ্ট অসঙ্গতি রয়েছে বলে দাবি করেন। সেই বিতর্ক আজও মেটেনি।