হায়দরাবাদ: যাত্রীসমেত রওনা দিয়েছিল আকাশে। কিন্তু কিছুক্ষণ ওড়ার পরই বিমানবন্দরে ফিরতে হল বিমানকে। হায়দরাবাদ থেকে ফুকেত যাওয়ার পথে মাঝ আকাশেই ঘটল বিপত্তি। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানকে ফিরিয়ে আনা হল বিমানবন্দরে। তবে ঠিক কী ঘটেছে, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। (Air India Flight Returns from Midair)
শনিবার সকালে হায়দরাবাদ থেকে তাইল্যান্ডের ফুকেত যাচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানটি। সকাল ৬টা বেজে ৪০ মিনিটে হায়দরাবাদ বিমানবন্দর থেকে আকাশে ওড়ে Flight IX 110. কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই মুখ ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে যায় বিমানটি। (Air India Express Flight)
এয়ার ইন্ডিয়া বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কিছু জানায়নি এখনও পর্যন্ত। তবে FlightRadar24 জানিয়েছে, উড়ানের কিছু ক্ষণ পরই বিমানের মুখ ঘোরানো হয় বিমানবন্দরের দিকে। সবমিলিয়ে ১৬ মিনিট আকাশে ছিল বিমানটি। এর পর বিমানবন্দরে ফিরে যায়। আকাশে ওড়ার পর হঠাৎ কেন বিমানবন্দরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল বিমানটিকে, তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি এয়ার ইন্ডিয়া। সকাল ১১টা বেজে ৪৫ মিনিটে ফুকেত পৌঁছনোর কথা ছিল বিমানটির। Flight IX 110 বিমানটিও আমেরিকার সংস্থা Boeing-এর 737 Max 8 বলে জানা গিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ায়, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের দুবাইগামী বিমানও লখনউয়ের চৌধরি চরণ সিংহ বিমানবন্দর থেকে উড়ান বাতিল করে শেষ মুহূর্তে। ইঞ্জিন চালুর সময় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় পাইলট বিমানটি ওড়াতে রাজি হননি। বিমানে সওয়ার ছিলেন ১৬০ জন যাত্রী এবং আট জন বিমানকর্মী। ইঞ্জিন চালু করতেই ত্রুটি চোখে পড়তেই পাইলট বিমান সংস্থার আধিকারিকদের সতর্ক করেন, খবর দেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে। ওই বিমানের উড়ান বাতিল করা হয় শেষ পর্যন্ত। যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়। যাঁরা আটকে পড়েছিলেন, হোটেলে থাকার ব্য়বস্থা করে দেওয়া হয়।
আমদাবাদে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ার পর থেকেই বার বার এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। ফলে এতদিন যে পরিবহণের যে মাধ্যমকে সবচেয়ে নিরাপদ বলে ধরা হতো, এখন তাকে ঘিরে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। আমদাবাদ দুর্ঘটনার কারণ এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। যান্ত্রিক গোলযোগ-সহ একাধিক তত্ত্ব সামনে আসছে যেমন, পাইলটদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও পাইলটদের সংস্থা এ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। এমনকি পাইলটদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে আসল কারণ চাপা দেওয়া হচ্ছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছে তারা। অন্য দিকে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়ে সতর্ক করেছে বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী সংস্থাও।